পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিচার বিভাগ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট বারের অ্যাডভোকেট ইউনূছ আলী আকন্দকে ৩ মাসের জন্য মামলা পরিচালনা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। গত সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগীয় বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তিন মাস নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
এর আগে ইউনূছ আলী আকন্দের বিষয়ে ভার্চুয়াল শুনানি হয়। শুনানির আগে আদালত অবমাননার ভুল স্বীকার করে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে লিখিত আবেদন জমা দেন ইউনূছ আলী। তাতে তিনি দাবি করেন, এক হাজারের মতো জনস্বার্থমূলক মামলা করেছেন। তিনি জনস্বার্থ মামলা করার ক্ষেত্রে একজন ‘পাইওনিয়ার’। একই সঙ্গে তার ওই ক্ষমার আবেদনে ১০-১৫ জন সিনিয়র আইনজীবীর নামও উল্লেখ করেছেন। সেখানে তিনি এ মামলায় এসব আইনজীবীকে নিযুক্ত করেছেন-মর্মে উল্লেখ করেন।
শুনানিকালে আদালত অবমাননার বিষয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ইউনুছ আলীকে উদ্দেশ্য করে বলেন,এই আইনজীবী (ইউনুছ আলী আকন্দ) একজন হ্যাবিচুয়াল কনটেম্পনার (অভ্যাসগত আদালত অবমাননাকারী)। এর আগেও তিনি ৩ বার একই ধরণের অপরাধ করেছেন। তাকে ছেড়ে দিয়েছি। আর কতবার তাকে ছেড়ে দেবো ? তিনি এবার যে কাজ করেছেন সেটা কি ক্ষমারযোগ্য? তার যে বয়স (৬১ বছর) তাতে প্রাক্টিস থেকে অবসর নেয়ার সময় হয়েছে। সরকারি চাকরি করলে তো ওই আইনজীবীকে এতদিন অবসরে যেতে হতো। যেহেতু তার বয়স ৬০ পেরিয়ে গেছে তাহলে অবসরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিই।’ এ সময় অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন,অবসরে পাঠালে সে কী করবে? পরিবার পরিজন নিয়ে বিপদে পড়বে। আপনারা তো দয়ার সাগর।ক্ষমা করে দিন। এ সময় বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান বলেন, দয়ার সাগরের কারণেই তো আমাদের বিচার বিভাগ নিয়ে নানা কথা শুনতে হচ্ছে।
অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘উনি যা করেছেন ভুল করেছেন,সতর্ক করে ক্ষমা করে দিন।
প্রধান বিচারপতি তখন বলেন, এমসিকিউ প্রশ্নপত্রে ভুল থাকায় তা নিয়ে মামলা করার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ওনার মেয়েকে মেডিকেলে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছি। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সুপারিশ করে ১৪ লাখ টাকা আদায় করে দিয়েছি। এখন তো দেখছি বুকের পাটা অনেক বড়। ওনার সাহস অনেক বেড়ে গেছে।
সিনিয়র বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী বলেন, ক্ষমা চেয়ে যে আবেদন দিয়েছেন সেটা এখন কোর্টের রেকর্ড। এটা মুছে ফেলা বা পরিবর্তন করা যাবে না। সারাবিশ্বে আমাদের জুডিশিয়ারিকে হেয় করেছেন।
আদালত অবমাননাকারী আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন,‘আপনার ফেসবুক স্ট্যাটাসে কার বিচার চেয়েছেন বা কারা বিচার বিভাগকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে? সেটা বলুন।’ তখন ইউনুছ আলী বলেন, ‘মাই লর্ড যে আবেদন দিয়েছি সেটা পরিবর্তন আবারও আবেদন জমা দেবো। তিনি বলেন, আমি বিচারক বা বিচার বিভাগ কোনোটিকেই বোঝাইনি। আমি তো ক্ষমা চেয়েছি। যেদিন এই স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম ওই দিনই তা মুছে ফেলেছি।
এর আগে আপিল বিভাগের শুনানির শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন আদালতকে বলেন, অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ ফেসবুকে বিচার বিভাগ নিয়ে যেসব স্ট্যাটাস দিয়েছেন- তা বিচার বিভাগের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।