নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ শেষে প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে অ্যাডহক কমিটি গঠন হয়েছিলো বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশনে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) বেঁধে দেয়া দিনক্ষণ অনুযায়ী তিন মাস পর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। নানা ঘটনার জন্ম দিয়ে এতোদিন অ্যাডহক কমিটির অধীনেই চলেছে সাইক্লিংয়ের সব কার্যক্রম। নির্বাচন নয়, এখন ফের নতুন অ্যাডহক কমিটি এসেছে এই ফেডারেশনে। মোহাম্মদ তাহের উল আলম চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে সোমবার বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশনের ২২ সদস্যের নতুন অ্যাডহক কমিটির ঘোষণা করে করেছে এনএসসি। এদিন এনএসসি সচিব মাসুদ করিমের সই করা জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে (এনএসসি/১২০/জেন/৮৮৬) কমিটির চার সহ-সভাপতি হলেন- জোবেরা রহমান লিনু, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, আবদুল গাফফার ও তোফাজ্জল হোসেন। দুই যুগ্ন সম্পাদক- সাহিদুর রহমান ও আবদুল কুদ্দুস, কোষাধ্যক্ষ- শেখ সাজেদ উল্লাহ সাজু এবং বাকি ১৪ জন সদস্য।
শফিউল্লাহ আল মুনীরকে বাদ দিলেও সভাপতি পদে এখনো মনোনয়ন দেয়নি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এই কমিটিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে সাইক্লিং ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েই নতুন লক্ষ্যের কথা জানান তাহের উল আলম। সোমবার মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘মাত্রই দায়িত্ব পেয়েছি। সবার সঙ্গে বসেছি। আমি চাই ভবিষ্যতে সাইক্লিংকে একটি স্তরে নিয়ে আসতে। বিশেষ করে তৃণমূলে কাজ করতে হবে আমাদের। সাইক্লিং ফেডারেশনের মান মর্যাদা বাড়াতে হবে। তাছাড়া খুব শিগগিরই সবার সঙ্গে বসে একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যায় কিনা তা নিয়ে আলোচনা করবো।’
২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পারভেজ হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে সাইক্লিংয়ে আগের অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা করেছিল এনএসসি। তারও এক বছর পর সভাপতি পদে মনোনীত করা হয় শফিউল্লাহ আল মুনীরকে। দায়িত্ব নিয়ে সাইক্লিংয়ে উন্নয়নের কথা বললেও মুনীর গত আড়াই বছরে কাজের কাজ কিছুই করেননি। ফেডারেশনের কার্যালয়কে সুসজ্জিত করলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশ সাইক্লিংয়ের অবস্থার নকোন উন্নতি হয়নি। উপরন্তু বিতর্কিত কর্মকা-ের কারণে বেশ সমালোচিত হয়েছেন মুনীর। সর্বশেষ চেক জালিয়াতির মামলায় বর্তমানে কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন তিনি। বিতর্কিত সভাপতি এবং নিষ্ক্রিয় সাধারণ সম্পাদকের কারণে আজ মুখ থুবড়ে পড়েছে এই ক্রীড়া ডিসিপ্লিনটি। যার ফলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পদকের কাছ থেকে দূরে সরে গেছেন কার্যনির্বাহী কমিটির অন্য কর্মকর্তারা। বিভিন্ন সভায় তারা আসতেন না। এমনকি নির্বাহী কমিটির কর্তাদের ডাকার প্রয়োজন বোধটুকুও করতেন না সভাপতি। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপর অসন্তুষ্ট কর্মকর্তারা এনএসসির দিকেই তাকিয়ে ছিলেন। অবশেষে তারা সুফল পেলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।