Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জোকোভিচকে হারিয়ে আবার সেরা নাদাল

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০২০, ৭:২৮ পিএম

অবিশ্বাস্যভাবে ১৩ বার রাফায়েল নাদাল নামের টেনিস চ্যাম্পিয়ন ফ্রেঞ্চ ওপেনে জিতেছেন পুরুষ এককের শিরোপা। সর্বশেষ একটু আগে রোঁলা গাঁরোয় মাথার ওপরে তুলে ধরলেন সেই অতিকাঙ্ক্ষিত লা কুপে দু মাসকেটিয়ার্স- ফ্রেঞ্চ ওপেনের ট্রফি।

২০০৫ সালে লাল দুর্গে উড়িয়েছিলেন বিজয় নিশান, সেই থেকে মাত্র তিনবার এখানে ট্রফিটি জিতেছেন রজার ফেদেরার, স্তান ভাভরিঙ্কা ও নোভাক জোকোভিচ। বাকি ১৩ বারেরই চ্যাম্পিয়ন নাদাল। রবিবার চিরপ্রতিদ্বিন্দ্বী জোকোভিচকে ফাইনালে ৬-০, ৬-২, ৭-৫ গেমে রীতিমতো ধ্বংস করে জিতলেন ২০২০ ফ্রেঞ্চ ওপেন। যা তাকে নিয়ে দাঁড় করালো সর্বোচ্চ ২০টি গ্র্যান্ড স্লামজয়ী রজার ফেদেরারের পাশে। রজার ফেদেরারকে পেশাদার টেনিসের সর্বোচ্চ আসনটিতে আর এককভাবে বসে থাকতে দিলেন না নাদাল। এখন দুজনের নামই উচ্চারিত হবে সর্বোচ্চ ২০ গ্র্যান্ড স্লামজয়ী হিসেবে।

নাদাল এবার প্যারিসে এসেছিলেন জোড়া লক্ষ্য নিয়ে। জিতবেন ১৩তম শিরোপা। আর এটি জিতেই ছুঁয়ে ফেলবেন ফেদেরারকে। ফ্রেঞ্চ ওপেনে ১০০তম ম্যাচ জিতে দুটি লক্ষ্যই পূরণ করলেন ৩৪ বছর বয়সী স্প্যানিয়ার্ড।

শুরুর আগে করোনাপীড়িত ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালটিকে বলা হচ্ছিল ‘স্বপ্নের ফাইনাল’, ‘ব্লক-বাস্টার ফাইনাল’। কেননা কোর্টের একপাশে দাঁড়াবেন ১৯ গ্র্যান্ড স্লামজয়ী নাদাল। অন্যপাশে ১৭ গ্র্যান্ড স্লামজয়ী নোভাক জোকোভিচ। ইউএস ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে লাইন জাজের গায়ে বল মেরে বহিষ্কৃত হয়েছেন, ওই পরাজয় ছাড়া এ বছর আর কোনও ম্যাচ হারেননি জোকোভিচ। অন্যদিকে নাদাল ইউএস ওপেনে খেলেননি। ফ্রেঞ্চ ওপেনের আগে প্রস্তুতিমূলক টুর্নামেন্ট ইতালিয়ান ওপেনে হেরে গেছেন কোয়ার্টার ফাইনালে। সবাই ধরে নিয়েছিলেন ৩৩ বছর বয়সী সার্বিয়ান যদি হেরেও যান, হারার আগে জীবন অতিষ্ঠ করে তুলবেন নাদালের। ক্যারিয়ারে যে ৫৫ বার মুখোমুখি হয়েছেন দুজন তাতে জোকোভিচ ২৯ ম্যাচে জিতে এগিয়ে আছেন। নাদাল জিতেছেন ২৬ বার। এই জোকোভিচ তো প্রবল প্রতিপক্ষ।

কিন্তু এটা যে রোলাঁ গাঁরোর লাল মাটির দুর্গ, এখানে রাজা হিসেবে একজনেরই অধিষ্ঠান, তিনি রাফায়েল নাদাল। আবারও দেখালেন কেন তিনি লাল দুর্গের রাজা। সরাসরি তিন সেটে উড়িয়ে দিলেন জোকোভিচক। প্রথম সেটে একটি গেমও জিততে দেননি তাকে। দ্বিতীয় সেটে জোকোভিচ জিতেছেন ২ গেম। তৃতীয় সেটে একটু ঘুরে দাঁড়িয়ে যখন ম্যাচ চতুর্থ সেটে নেওয়ার হুমকি দিতে শুরু করেছেন জোকোভিচ, তখনই সেটির মীমাংসা টেনে দিয়েছেন নাদাল। স্কোরলাইন ৬-০, ৬-২, ৭-৫!

না, নাদাল মোটেই ফেদেরারের ২০ গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের সমান করতে এখানে আসেননি! ট্রফি নেওয়ার পর যেমন বললেন তাতে রোলাঁ গাঁরোয় আরেকবার ট্রফি উঁচিয়ে ধরতেই তিনি এসেছিলেন, ‘এখানে জয়ই আমার সবকিছু জুড়ে থাকে। সত্যি বলছি আমি রজারের (ফেদেরার) সমান ২০তম নিয়ে আমি ভাবিনি, আমার কাছে এটি রোলাঁ গাঁরোয় আরেকটি বিজয়। আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো এখানে কাটিয়েছি। এখানে খেলাটা আমার কাছে সত্যিকারের এক অনুপ্রেরণা আর ভালোবাসার অবিস্মরণীয় গল্প, এই নগরী আর এই কোর্টের সঙ্গে।’

নাদাল যা বলতে পারেন না তা হলো কবে তার মূর্তি বসবে রোলাঁ গাঁরোয়? একটি গ্র্যান্ড স্লাম কেউ ১৩ বার জেতেন, এটা ভাবতে গেলেই টেনিস মানসে ভর করে এক পরাবাস্তব অনুভূতি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ