পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবিলম্বে ধর্ষকদের লাগাম টেনে ধরুন। ক্ষমতায় থাকতে হলে মা বোনদের ইজ্জাত আব্রুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নারীবাদীরা আজ কোথায়? দেশে নারীদের ইজ্জ লুন্ঠন হচ্ছে। অথচ নারীবাদীরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। ধর্ষণ ব্যভিচার বন্ধ করতে হলে অবিলম্বে কুরআনের আইন প্রণয়ন করতে হবে। ধর্ষক ও অবৈধ যৌনচারের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে হবে। ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড আইন প্রণয়নের দাবিতে গতকাল রোববার বাদ আসর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ঢাকা মহানগরী আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। এছাড়া বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত ধর্মীয় সভা ওয়াজ মাহফিল বন্ধ থাকায় মানুষের মাঝে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে। দুষ্ট প্রকৃতির মানুষ ধর্ষণ ও ব্যভিচারের লিপ্ত হচ্ছে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ঢাকা মহানগরী : জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে গতকাল বাদ আসর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর সভাপতি শাইখুল হাদীস আল্লাম মনজুরুল ইসলাম আফেন্দি। এতে আরো বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী, মাওলানা জয়নাল আবেদীন, মাওলানা মাহবুবুল আলম, হাফেজ মাওলানা নূর মোহাম্মদ , মাওলানা হেদায়েতুল ইসলাম, মাওলানা হাসান আহমাদ, মাওলানা নূরুল আলম, হাফেজ ওমর আলী ও মাওলানা সাইফুদ্দিন।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্ষণ ও ব্যভিচার বন্ধে ইসলামী আইন প্রণয়নের কোন বিকল্প নেই। ধর্ষকদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ফাঁসির আইন প্রণয়ন করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দি বলেন, ধর্ষণের বাংলাদেশ দেখার জন্য এ দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধ করেনি। ধর্ষণ, ব্যভিচার ও অবৈধ যৌনচার বন্ধের লক্ষ্যে অবিলম্বে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড আইন প্রণয়ন করতে হবে। পরে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ : মাগুরা জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ধর্ষণবিরোধী মানববন্ধনে জেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগের সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে বলেন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান রুবেলের নেতৃত্বে গতকাল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের শান্তিপ‚র্ণ মানববন্ধনে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১৫ জন নেতাকর্মীদের আহত করে। নেতৃবৃন্দ বলেন, ধষণবিরোধী কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ তাদের ফ্যাসিবাদী চরিত্র এবং ধর্ষকদের সহযোগী হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে মানবতা ও সংবিধান বিরোধী কাজ করেছে। ধর্ষক ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে করে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় দেশপ্রেমিক ঈমানদার জনতা মা বানদের ইজ্জত রক্ষায় দেশব্যাপী গণআন্দোলন গড়ে তুলবে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম : সংঘবদ্ধ ধর্ষেণর প্রতিবাদ ও তা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে সমমনা ইসলামী দল সমূহের এক জরুরী বৈঠক রোববার জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসচিব ও সমমনা ইসলামী দল সমূহের সমন্বয়ক আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে জমিয়ত কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রধান আমীরে শরীয়ত আল্লামা শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফিজ্জী, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমির মাওলানা ড. ঈশা শাহেদী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহসভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসূফী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়বে আমীর মাওলানা খুরশেদ আলম কাসেমী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, খেলাফত আন্দোলনের নায়বে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মহাসচিব মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা জয়নুল আবেদীন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সহকারী প্রচার সম্পাদক মাওলানা ফয়সল আহমদ।
বৈঠকে দেশব্যাপী ধর্ষণ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও যেনা-ব্যভিচার প্রতিরোধের লক্ষ্যে ৬ দফা দাবি প্রণয়ণ করা হয়। দাবিসমূহ হচ্ছে, যেনা, ব্যভিচার ও ধর্ষণ প্রতিরোধে জনসম্মুখে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পর্ণগ্রাফির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নারীর মর্যাদা এবং অধিকার সংরক্ষণে কুরআন-হাদীসের শিক্ষাসমূহ জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
বৈঠকে ঘোষিত ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষে আগামী ১৬ অক্টোবর শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইট থেকে গণ মিছিল কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।