Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

আজারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধবিরতি কার্যকর

সেনা প্রত্যাহার না করলে ব্যর্থ হতে পারে যুদ্ধবিরতি : তুরস্ক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০২ এএম

নাগরনো-কারাবাখ নিয়ে প্রায় দুই সপ্তাহের যুদ্ধের পর অবশেষে সংঘাত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তে একমত হয়েছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত দুই পক্ষই হামলা চালিয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মস্কোতে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের মধ্যস্থতায় দুই দেশের ক‚টনীতিকরা এই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হন। গতকাল স্থানীয় সময় দুপুর থেকে বিতর্কিত অঞ্চল নগরনো-কারাবাখে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। মস্কোতে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের মধ্যস্থতায় দুই দেশের ক‚টনীতিকরা এই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হন।

২৭ সেপ্টেম্বর থেকে চলা এ যুদ্ধে ৪শ’রও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিকভাবে নাগরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের অংশ হলেও অঞ্চলটিতে সংখ্যাগুরু আর্মেনীয়দের বাস। আর্মেনীয় সেনা সহায়তায় যুদ্ধের পর ১৯৯৪ সাল থেকে নগরনো-কারাবাখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোহরাব মোনাতসাকানিয়ান এবং আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েহুন বায়রামোভ এ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হন।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের এক বিবৃতিতে বলেন, মানবিক কারণে যুদ্ধবন্দি হস্তান্তর এবং লাশ স্থানান্তরের জন্য এই যুদ্ধবিরতিতে দুই পক্ষ সম্মত হয়েছে। লাভরোভ আরো জানান, দুই দেশই আলোচনার মাধ্যমে দ্রæত একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছাতে একমত হয়েছে। নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল থেকে যদি আর্মেনিয়া সেনা প্রত্যাহার না করে তাহলে যে যুদ্ধবিরতি এবং শান্তির প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে তা ব্যর্থ হবে বলে মনে করছে তুরস্ক। শুক্রবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন এ মন্তব্য করেন।
এর আগে রাশিয়া ঘোষণা করে যে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান সোমবার মস্কোয় বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে। চলমান সংঘাত বন্ধের লক্ষ্য নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে ফ্রান্স, রাশিয়া এবং আমেরিকা। এ প্রসঙ্গে ইব্রাহিম কালিন বলেন, যদি শুধুমাত্র তারা শান্তি এবং যুদ্ধ বিরতির প্রচেষ্টা চালায় এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করে তাহলে গত ৩০ বছর ধরে যা ঘটে চলেছে তারই পুনরাবৃত্তি ছাড়া আর কিছুই হবে না। তিনি বলেন, আর্মেনীয় দখলদারিত্বের অবসান ঘটানোর ব্যাপারে যদি বিস্তারিত পরিকল্পনা নিয়ে কাজ না করা হয় তাহলে এ শান্তি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে -এটি প্রায় অবধারিত।
অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড অপারেশন ইন ইউরোপ-এর সহযোগিতায় আমেরিকা, ফ্রান্স এবং রাশিয়া গত ৩০ বছর ধরে নাগরনো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যকার দ্ব›দ্ব নিরসনে চেষ্টা করে আসছে কিন্তু তাদের সে প্রচেষ্টা সফল হয়নি। সূত্র : ডয়চে ভেলে, ইয়েনি শাফাক, রয়টার্স।



 

Show all comments
  • Uzzal Kanti Datta ১১ অক্টোবর, ২০২০, ২:০৭ এএম says : 0
    আর্মেনিয়া নাগোরনো-কারাবাক দখল নিচ্ছিল কোন যুক্তিতে? যেখানে নাগোরনো-কারাবাক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আজারবাইজানের ভূমি মালিকানা। আজারবাইজান তার অংশ দখল নিবে এটা তার অধিকার। সেখানে অন্যকোন জাতি বা গোষ্ঠী যুদ্ধ করলে বিদ্রোহী বলে বিবেচিত হবে। আর বিদ্রোহীদের দমন রাষ্ট্রের মৌলিক অধিকার যা আজারবাইজান করতেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Zohor Ali ১১ অক্টোবর, ২০২০, ২:০৮ এএম says : 0
    কি আশ্বাসের ভিত্তিতে আজারিরা যুদ্ধবিরতিতে গেলো?? তবে আজরিরা এই জমিটা দখল করতে খুব সামান্যই সময় নিতো যদি সেখানে আর্মিনিয়ার জনগোষ্ঠীর বসবাস না হয়ে আজারী জনগোষ্ঠীর বসবাস হত অথবা সমানে সমান হত! আর্মেনিয় জনগোষ্ঠীর নয় আসলে ঐ অঞ্চলের মূল বসতি ছিলো আজারী জনগোষ্ঠীর কিন্তু ৮৮-৯৪ এর দীর্ঘ্য যুদ্ধে তাদের উপর গণহত্যা ও উচ্ছে চালায় ক্রুসেডাররা এবং এর মাধ্যমে দখলদারিত্ব ও খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীর বসবাস বেড়ে যায়!
    Total Reply(0) Reply
  • Imam Hossain Milon ১১ অক্টোবর, ২০২০, ২:০৮ এএম says : 0
    ইনশাআল্লাহ! খুব শীঘ্রই সুলতান এরদোগানের নেতৃত্বে ফিলিস্তিন, কাশ্মীর সহ বিশ্বের সকল মজলুম মানবতার জায়গা পুনরূদ্ধার সহ পূর্ন অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, ইনশাআল্লাহ
    Total Reply(0) Reply
  • Bacheu Rahaman ১১ অক্টোবর, ২০২০, ২:০৯ এএম says : 0
    সবাই জানি যুদ্ধ মানব জাতির জন্য বিপর্যয় ডেকে আনে, তা সত্ত্বেও কখনো কখনো যুদ্ধ করাটা অপরিহার্য হয়ে যায়, যুদ্ধে কখনো যুদ্ধ বিরতি বলে কিছু হতে পারে না, যতক্ষণ না নিজ ভূমি পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত তো নয়, পৃথিবীর আবহমান কাল থেকে নূতন মানচিত্র তৈরি করার এই খেলা চলতেই থাকবে!!
    Total Reply(0) Reply
  • Jaber Ahmed Rumel ১১ অক্টোবর, ২০২০, ২:০৯ এএম says : 0
    যুদ্ধ বিরতি কেন? আজারবাইজানের জায়গা ছেড়ে দিতে চায় না কেন আর্মেনিয়া? দখলদার আর্মেনিয়ার পক্ষে কথা বলা ফ্রান্স যুক্তরাষ্ট্রের মত আরো জালিম রাষ্ট্র গুলো চায় সেই জায়গায় আর্মেনিয়ার ক্ষমতা থাকুক কিন্তু প্রকৃত পক্ষে যে জায়গাটি আজারবাইজানের তাই তাদের কে তাদের জায়গা ফেরৎ দেয়া হোক
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ