Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আলজেরিয়ায় তরুণীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ দেশটির যুবসমাজ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০২০, ৮:২০ পিএম

আলজেরিয়ায় তরুণীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ দেশটির যুবসমাজ।ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এসেছে আলজেরিয়ার মানুষ। নারীর প্রতি সহিংসতা রুখতে দেশটির অনেকগুলো শহরে চলছে বিক্ষোভ। এ মাসের শুরুতে সাইমা সাদুউ নামে ১৯ বছরের এক তরুণী অপহরণের শিকার হন। ধর্ষণের পর তাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। রাজধানী আলজিয়ার্সের থেকে ৮০ কিলোমিটার পূর্বে থেনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। একটি নির্জন পেট্রোল স্টেশন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। -বিবিসি, আরব নিউজ

এ ঘটনার অভিযুক্ত রায়ান নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাইমাকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ শিকার করেছে সে। ২০১৬ সালেও তার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করেছিল ভুক্তভোগীর পরিবার। এদিকে আরেক নারীর দগ্ধ মৃতদেহ এক জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয় বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়। এমন পরিস্থিতিতে আলজিয়ার্স, ওরানসহ একাধিক শহরের নারীরা রাস্তায় নেমে আসে। তাদের সঙ্গে যোগ দেন পুরুষেরাও। বিক্ষোভে বাধা দিয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। নারী সহিংসতার বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভের প্রতীক হয়ে উঠেন সাইমা। তার নামে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার প্রদর্শন এবং স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও হ্যাশট্যাগ দিয়ে ‘আই এম সাইমা’ প্রতিবাদ চালাচ্ছেন এক্টিভিস্টরা। নারী সহিংসতার জন্য তারা সরকারকে দায়ী করছেন। আলজিয়ার্সে বিক্ষোভকারী এক নারী বলেন, নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা দেয় না সরকার। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা আইনে থাকলেও বাস্তবতা হচ্ছে নির্যাতনকারীদের ক্ষমা করা দেয়ার জন্য বলে সরকার, সে ভাই, বাবা বা যেই হোক না কেন। তিনি বলেন, নারীরা অভিযোগ করলে তার সমাধান বা রায় পাওয়ার জন্য তিন থেকে চার বছর অপেক্ষা করতে হয়। এটি কোনোভাবে মেনে যায় না। এদিকে ফেমিসাইড আলজেরিয়া নামে একটি সংগঠন জানায়, চলতি বছরে উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে এখন পর্যন্ত সহিংসতার শিকার হয় ৩৮ জন নারী হত্যার শিকার হয়েছে। আগের বছরে এ সংখ্যা ছিল ৬০।



 

Show all comments
  • Jack Ali ৯ অক্টোবর, ২০২০, ৯:৩৭ পিএম says : 0
    Allah ordered muslim women to wear Hizab. Hizab protect from rape and only that people respect the women who wear Hizab.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ