নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে বর্তমানে অভিভাবকশূণ্য অসহায় অবস্থার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস (টিটি) ফেডারেশন। প্রায় দেড় বছর আগে ফেডারেশন থেকে পদত্যাগ করেছেন সভাপতি সাবেক অর্থ সচিব হেদায়েতউল্লাহ আল-মামুন। অন্যদিকে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রায় দেড়মাস ধরে হাসপাতালে। নেপাল সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের পর কাটলো প্রায় দশমাস। এই সময়ে মধ্যে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক কোন খেলা ছিলনা। করোনাকালে টেবিলের খেলা বন্ধ তাই ফেডারেশনে কর্মকর্তারাও আসেন না। এমতাবস্থায় খেলোয়াড়রা প্রায় ছন্নছাড়া। তবে এরই মাঝে দেশের টিটিকে সচল করতে ফেডারেশনের কার্যক্রমকে বেগবান করার চেষ্টা করছেন কর্মকর্তারা। জানা গেছে, অভিভাবকশূণ্য অসহায় অবস্থার মধ্যেও চলতি মাসের শেষ দিকে তিনটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে অনুশীলন শুরু করবেন জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা।
গত বছরের মার্চে টিটি ফেডারেশনের নির্বাচনে একক প্যানেল জয়ী হলে সাবেক অর্থ সচিব হেদায়েতউল্লাহ আল-মামুনকে সভাপতি মনোনীত করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। তিনি দায়িত্বগ্রহণের পর ফেডারেশনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে নানা পদক্ষেপ নেন। বিশ্বস্ত সুত্র জানায়, ক্যাম্প না করেও খেলোয়াড়দের স্বাক্ষর নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) থেকে ১৬ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের চেষ্টা করেছিলেন ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। কিন্তু সেই অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য করেন সভাপতি মামুন। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে নেপাল এসএ গেমস শুরুর আগে সহ-সভাপতি খোন্দকার হাসান মুনীরের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন পর্যন্ত করেছিলেন সিনিয়র খেলোয়াড়রা। যার প্রেক্ষিতে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে নিজের পদত্যাগ পত্র দেন মামুন। এ প্রসঙ্গে শুক্রবার তিনি বলেন, ‘ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে আমি গত বছরই পদত্যাগ পত্র দিয়েছি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে। এরপর আর যাইনি টিটি ফেডারেশনে। তবে শুনেছি, সহ-সভাপতি খোন্দকার হাসান মুনীর এখন ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। যদিও পরে আর ফেডারেশনের কোন সভার আমন্ত্রণ পত্রও পাইনি।’ সূত্রটি আরো জানায়, এনএসসির অনুমতি না থাকলেও বাইলজ অনুযায়ী এই দায়িত্ব পালন করছেন মুনীর। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির কথা, ‘সভাপতি সাহেব এসএ গেমসের আগেই অব্যাহতি চেয়েছেন। কিন্তু তা গৃহীত হয়নি। একজন নতুন সভাপতি চেয়ে মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, এমন একজন সভাপতি দেবো যিনি টিটিতে পৃষ্ঠপোষকতায় সহযোগিতা করবেন।’ এদিকে করোনাক্রান্ত হয়ে বেশ কিছু দিন আগেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সাধারণ সম্পাদক। সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক না থাকায় গা করছেন না অন্যরা। ফলে ২০ জন টিটি খেলোয়াড় এনএসসির কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা করে সহায়তা পাচ্ছেন না। অন্য ফেডারেশনগুলো তাদের দুস্থ খেলোয়াড়দের নাম ইতোমধ্যে জমা দিলেও সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও সেই নাম জমা দেয়নি টেবিল টেনিস ফেডারেশন। ফলে তালিকায় থাকা ২০ খেলোয়াড় সরকারী অর্থ সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
এদিকে ফেডারেশনের অভিভাবক না থাকলেও তিনটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের জন্য এ মাসেই অনুশীলন শুরু করবেন জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা। মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে নারী ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে খেলবে বাংলাদেশ। এছাড়া জানুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে সাউথ এশিয়ান জুনিয়র ও ক্যাডেট এবং কমনওয়েলথ রিজিওনাল জুনিয়র ও ক্যাাডেট টুর্নামেন্ট। সাউথ এশিয়ান জুনিয়র ও ক্যাডেটে সাতটি ও কমনওয়েলথ জুনিয়র ও ক্যাডেট টুর্নামেন্টে অংশ নেবে ১২টি দেশ। এই টুর্নামেন্টগুলোকে সামনে রেখে ২৫ অক্টোবর ক্যাম্প শুরু করবে টিটি ফেডারেশন। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খোন্দকার হাসান মুনীর বলেন, ‘তিনটি টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২৫ অক্টোবর থেকে ক্যাম্প শুরু করবো। এছাড়া ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে লিগের সম্ভাব্য সূচীও ঘোষণা করা হবে। আর এসব ঠিক হবে ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।