গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর পল্লবীতে পুনর্বাসন ছাড়াই ১৮’শ উদুর্ভাষী পরিবারকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছে উর্দুভাষীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আইআরএ, আলফালাহ বাংলাদেশ এবং কাউন্সিল অব মাইনোরিটিজের সহযোগিতায় উর্দুভাষী যুব-ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত “ক্যাম্পে বসবাসরত উর্দুভাষী বাংলাদেশীদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও সকল নাগরিক সুবিধাসহ মর্যাদাপূর্ণ স্থায়ী পুনর্বাসন” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ অভিযোগ করেন বক্তারা।
সিনিয়র সাংবাদিক সেলিম সামাদ বলেন, উর্দুভাষী ক্যাম্পবাসীদের পুনর্বাসন করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। ক্যাম্প উচ্ছেদ না করতে আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ রয়েছে। এরপরও যদি কাউন্সিলররা পুর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করতে চায় তাহলে আমি বলবো এটা গুন্ডামী। এগুলো বন্ধ করে উর্দুভাষীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুন।
তিনি বলেন, এই জনগোষ্ঠীর অনেকেই ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। বাংলাদেশের জন্য লড়াই করেছেন। তাদের বংশধরদের এভাবেই ফেলে দেওয়া যাবে না।
বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরামের মহাসচিব খায়রুজ্জামান কামাল বলেন, উর্দুভাষীরা এদেশের নাগরিক। এরা যেনো কোনো অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। আমরা এ জনগোষ্ঠীর সাথে আগে ছিলাম। আগামীতেও থাকবো। তাদের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকারের জন্য কথা বলবো।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করার সময় উর্দুভাষী যুব-ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মোঃ ইমরান খান বলেন, উর্দুভাষীদের মানুষের মতো করে বাঁচার সুযোগ দিন। প্রতিদিন আমাদের উচ্ছেদ আতংকে কাটাতে হচ্ছে। আমরাও উন্নয়ন চাই। তবে পুনর্বাসনের আগে ক্যাম্প উচ্ছেদ কোনোভাবেই মেনে নেব না।
উর্দু স্পীকিং পিপলস ইউথ রিহ্যাবিলিটেশন মুভমেনট’র সভাপতি মোঃ সাদাকাত খান ফাক্কু বলেন, ২০১৪ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উর্দুভাষী ক্যাম্পবাসীদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা থাকলেও আমলাদের আন্তরিকতার অভাবে সেই উদ্যোগ থমকে আছে। কিন্তু ক্যাম্প উচ্ছেদের প্রক্রিয়া থেমে নেই। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন পল্লবীর ৩ ও ৫ নং ওয়ার্ডের রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু করেছে। এ দুটি ওয়ার্ডে প্রায় ১৮’শ উর্দুভাষী পরিবার উচ্ছেদের আওতায় রয়েছে। কিছুদিন আগে সেকশন ১১ তে অবস্থিত ক্যাম্পগুলো থেকে ৩৯২ টি উর্দুভাষী পরিবারকে তাদের ঘর-বাড়ী খালি করতে বলা হয়েছে। ক্যাম্প উচ্ছেদ বন্ধে আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থার আদেশ থাকলেও সেটা মানতে নারাজ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। এভাবে পুনর্বাসন ছাড়া এতোগুলো পরিবারকে উচ্ছেদ করতে চাইলে তো আমাদের বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নামতে হবে। ১৮’শ উর্দুভাষী পরিবাররের ঘর-বাড়ী বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উদুভাষী যুব-ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মোঃ ইমরান খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রিপোটার্স উইদাউট বর্ডাস আরএসএফ’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি সেলিম সামাদ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরামের মহাসচিব খায়রুজ্জামান কামাল, উর্দু স্পীকিং পিপলস ইয়ুথ রিহ্যাবিলিটেশন মুভমেন্ট’র সভাপতি মোঃ সাদাকাত খান ফাক্কু, সাধারণ সম্পাদক শাহিদ আলি বাবলু, উপদেষ্টা আবু জাহের, কাউন্সিল অব মাইনোরিটিজের প্রধান নির্বাহি খালিদ হুসাইন, ইউএসপিওয়াইআরএম’র সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাকিল, দপ্তর সম্পাদক শেখ নাজের উদ্দীন রাশেদ, এফএনএফ গ্রুপের সভাপতি শেখ মোহাম্মাদ আলি আড্ডু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।