মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে তিন কোটি ৬৪ লাখের উপরে এবং মারা গেছে ১০ লাখ ৬১ হাজারের বেশি। এখনো প্রতিদিন অগণিত বনিআদম করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে ও মারা যাচ্ছে।
এই মহামারিকালে সামাজিক দূরত্ব ব্যাপক আলোচিত হলেও সমাজে যে শ্রেণিবিভাজন তৈরি হয়েছে তা কিন্তু আলোচনায় আসছে খুবই কম। প্রাণঘাতী অতি সংক্রামক ভাইরাসটির প্রকোপে সব অচল হয়ে দরিদ্র কোটি কোটি মানুষ অতি-দরিদ্র হলেও বিশ্বজুড়ে শতকোটিপতিদের সম্পত্তি কিন্তু বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী সুইস ব্যাংক থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, মহামারি যখন সবচেয়ে প্রকট; সেই এপ্রিল থেকে জুলাইয়ে ধনকুবেরদের সম্পত্তি ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ বা ১০ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি বেড়েছে। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি কামিয়েছেন প্রযুক্তি ও শিল্প খাতের কর্তাব্যক্তিরা।
শতকোটিপতিদের সম্পত্তি বাড়ার রেকর্ড হয়েছে এবার। এর আগে তাদের সম্পত্তি ফুলে-ফেঁপে ওঠার ঘটনা ঘটেছিল ২০১৭ সালে। বিশ্ববাজারে শেয়ারের মূল্য বাড়ায় তখন এ পরিমাণ ছিল ৮ লাখ ৯০ হাজার কোটি ডলার।
সুইস ব্যাংক বলছে, কোভিড-১৯ সংকটকালেও শতকোটিপতিরা ‘খুব ভালো’ করেছেন। শতকোটিপতির সংখ্যাও রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে। ২০১৭ সালে সংখ্যাটি ২ হাজার ১৫৮ থাকলেও এখন তা ২ হাজার ১৮৯ জন।
চলতি বছরে সম্পত্তি বৃদ্ধির তালিকায় বড় জায়গা দখল করে আছে শিল্পপতিরা। এপ্রিল-থেকে জুলাই সময়কালে শিল্পপতি ধনকুবেরদের সম্পত্তির পরিমাণ ৪৪ শতাংশ বেড়েছে।
ব্যাংকটি বলছে, ‘লকডাউন নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ার কারণে বিশ্ব অর্থনীতির গতি ফিরতে শুরু করায় কোম্পানির বাজারমূল্য বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে একপেশেভাবে সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে শিল্পপতিদের।’
বৈশ্বিক এক স্বাস্থ্যসংকটের ফায়দা তুলেছেন স্বাস্থ্যখাতের ধনকুবেররাও। কারণ করোনায় স্পটলাইটে চলে এসেছে ওষুধ ও স্বাস্থ্য সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর। তাদের পণ্যের চাহিদা ছিল আকাশচুম্বি।
জানা গেছে, জেফ বেজোসের দুই হাজার ৯৯০ কোটি মার্কিন ডলার, বিল গেটসের এক হাজার ১৯ কোটি ডলার, বারনার্ড আরনল্টের এক হাজার ২৮০ কোটি ডলার, মার্ক জুকারবার্গের তিন হাজার ১৪০ কোটি ডলার, ল্যারি পেজের ১ হাজার ৪২০ কোটি ডলার, মুকেশ আম্বানির ১ হাজার ৯৯০ কোটি ডলার, ম্যাকেনজি বেজোসের ১ হাজার ৪০ কোটি ডলার এবং ইলন মাস্কের ৯৫০ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পত্তি বেড়েছে। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।