রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মহারাষ্ট্রে আইএস সদস্য সন্দেহে গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের আকুতি
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের মহারাষ্ট্রে গ্রেফতারকৃত সন্দেহভাজন আইএস সদস্যদের পরিবারবর্গ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির দাবী জানিয়েছে। রাজ্যের পারভানি জেলা থেকে এন্টি টেরোরিজম স্কোয়াডÑএটিএস পরিবারের এসব সদস্যদের আটক করে। একটি পরিবারের বক্তব্য হচ্ছে, তাদের ছেলে যদি সন্ত্রাসী হয়, তাহলে আমি তার ফাঁসি চাই। আরেক সন্দেভাজন শহীদ খানের পিতা ৫৮ বছর বয়স্ক মোহাম্মদ কাদির আলী খান বলেন, সব গণমাধ্যমে আমার ছেলের গ্রেফতারের খবর প্রচার হয়েছে। মামলায় সে নির্দোষ প্রমাণ হয়ে বেড়িয়ে এসেছে। কিন্তু কোনো গণমাধ্যম তা খবর হিসেবে প্রচার করেনি। তিনি বলেন, আমাদের পরিবারের ওপর যে কালিমা লেপন করা হয়েছে, আমরা তা থেকে নিষ্কৃতি চাই।
চাচার ঘর থেকে ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসÑ আইইডি উদ্ধার করার পর শহীদকে গত ২৩ জুলাই রাতে গ্রেফতার করা হয়। কর্তৃপক্ষের মতে, সে প্লাস্টিক প্রক্রিয়াজাতকরণে প্রশিক্ষিত ছিলো। এ রকম আরও তিনটি পরিবার আছে, যারা মনে করে এটিএস তাদের অহেতুক গ্রেফতার করেছে এবং তাদের ছেলেরা নির্দোষ।
গত ১৪ জুলাই ৩১ বছর বয়স্ক নাসের বিন জাফাই চাওসকে পারভানি থেকে আইএস সদস্য সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়। সিরিয়াভিত্তিক ফারুক নামের আরেক অভিযুক্তের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিলো। কর্তৃপক্ষ বলছে, সে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে তরুণদের উদ্ভূত করার চেষ্টা করতো।
একই ধরনের, অর্থাৎ আইএসের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ২৪ বছর বয়স্ক শহীদকেও। চাওসের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এটিএস মোহাম্মদ রাইসউদ্দিন সিদ্দিকী ও শেখ ইকবাল শেখ কবির আহমেদকে গ্রেফতার করে।
শেখ ইকবাল শেখ কবির আহমেদের পিতা কবির আহমেদ বলেন, ইকবাল যদি সন্ত্রাসী হয় তাহলে আমি তাকে রাস্তায় প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝোলাবো এবং পুলিশকে বলবো, তাকে গুলি করে মেরে ফেলতে। কিন্তু সে নির্দোষ হলে অবশ্যই মুক্তি পাবে, কারণ সে-ই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য।
কবির আহমেদ বলেন, এটিএস ইকবালকে দু’বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, কিন্তু তাকে তিন তিনবার গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরও বলেন, এটিএস সদস্যরা ইকবালের কাছে এক টুকরো কাগজ পেয়েছিল, যাতে তিনি তাকে তার অসুস্থ বোনের রোগমুক্তির জন্য দোয়া করতে বলেছিলেন।
আরেক গ্রেফতারকৃত হচ্ছেন মোহাম্মদ রাইসউদ্দিন সিদ্দিকী। তিনি জেলা পরিষদ স্কুলের একজন শিক্ষক এবং জাতীয় পর্যায়ের ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া ফুটবল এসোসিয়েশনের হয়ে খেলেছেনও। তার ভাই একটি গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের এমবিবিএস চিকিৎসক ডাক্তার শামিমুদ্দিন বলেন, আমরা জানি না, কি কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নাসের ছিল রইসউদ্দিনের বাল্যবন্ধু। নাসেরের মোবাইলের কললিস্টে রইসউদ্দিনের নাম্বার ছিল। তার ভাই জানান, এ কারণেই হয়তো নাসেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শামসুদ্দিন জানান, অন্য অভিযুক্ত রইস আরবি ভাষার অনুবাদ করতো। সে কখনোই ভাষান্তরের মাধ্যমে সহিংসতার নির্দেশনা দিতো না। অভিযুক্ত চারজনকে শুক্রবার আরাবগাবাদ বিশেষ আদালতে তোলার কথা। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।