বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আরও তিন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এদিকে নির্যাতিতা ওই গৃহবধূর ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন আদালত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ থানার এসআই মোস্তাক আহমেদ জানান, গতকাল দুপুর ২টার দিকে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গ্রেফতারকৃত তিন আসামি সাজু, সোহাগ ও নূর হোসেন রাসেলকে হাজির করা হয়। ৩নং আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মাসফিকুল হক শুনানি শেষে দু’টি পৃথক মামলায় সাজুর ৩ দিন করে ৬ দিন এবং পর্ণগ্রাফী মামলায় রাসেল ও সোহাগের ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৭ আসামিকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে ভিকটিম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দেলোয়ার হোসেন দেলু ও আবুল কালামের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। বিকালে নির্যাতিতাকে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জ্যেষ্ঠ হাকিম নবনীতা গুহের আদালতে হাজির করা হয়। জ্যেষ্ঠ হাকিম ২২ ধারায় ওই নারীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই নারীর আগের স্বামী তার সাথে দেখা করতে তার বাবার বাড়ি একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে এসে তাদের ঘরে ঢুকেন। বিষয়টি দেখেন স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার। রাত ১০টার দিকে দেলোয়ার তার লোকজন নিয়ে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে পর পুরুষের সাথে অনৈতিক কাজ ও তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে পিটিয়ে নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারন করে। ৪ অক্টোবর দুপুরে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।