নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে বিভিন্ন সার্ভিসেস দলগুলো নিয়মিত খেলাধুলায় অংশ নিয়ে থাকে। প্রায় সব ক্রীড়া ডিসিপ্লিনেই তাদের দল রয়েছে। এবার অলিম্পিয়ান নিয়ে আরচ্যারিতে দল গড়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। আনসার, সেনাবাহিনী ও তীরন্দাজ ক্লাবÑ ঘরোয়া আরচ্যারিতে অন্যতম সেরা তিন শক্তি। জাতীয় বা ক্লাব পর্যায়ের বিভিন্ন টুর্নামেন্টে তারা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে একাধিকবার। দেশসেরা তীরন্দাজরা খেলে থাকেন এ তিন ক্লাবেই। তবে এবার আরচ্যারির নতুন শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে পুলিশ। তারা সবাইকে চমকে দিয়ে রিও অলিম্পিকে খেলা শ্যামলী রায়সহ জাতীয় আরচ্যারি দলের একাধিক খেলোয়াড় দলে ভিড়িয়েছে। নতুন শক্তি হিসেবে এসে শুরুতেই দেশসেরা হওয়া লক্ষ্য তাদের নেই। ধীরে ধীরে গুছিয়ে নিয়ে অন্যদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে দেশসেরা হতে চায় পুলিশ আরচ্যারি ক্লাব। লক্ষ্যপূরণে দলটি ভারতীয় কোচ নিশিথ দাসকে নিয়োগ দিয়েছে, যার হাত ধরে বাংলাদেশের আরচ্যারি অলিম্পিকে স্বর্ণ জয়ের স্বপ্নপূরণের যাত্রা শুরু করেছিল বিংশ শতাব্দির শুরুর দিকে।
২০১৮ জাকার্তা এশিয়ান গেমস চলাকালে ইন্দোনেশিয়ায় আরচ্যারি কোচ জিয়াউল হকের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় কাবাডি দলের ম্যানেজার পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ডেভেলপমেন্ট) গাজী মো. মোজাম্মেল হক। জাতীয় দলের জার্মান কোচ মার্টিন ফ্রেডরিকের সহকারি জিয়ার সঙ্গে কথা বলে জাকার্তাতেই পুলিশে আরচারি চর্চা শুরুর পরিকল্পনা সাজানো হয়। ওই গেমস শেষে দেশে ফিরে ঘর গোছাতে নামে পুলিশ। আরচ্যারি দলের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর অতিরিক্ত আইজিপি শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসানকে, আর সদস্য সচিব করা হয় গাজী মো. মোজাম্মেল হককে। এ দুইজন দায়িত্ব পেয়ে একটি শক্তিশালী আরচ্যারি দল গঠনের লক্ষ্যে দেশসেরা তীরন্দাজদের দলভূক্ত করেন। অলিম্পিয়ান, জাতীয় দলের সিনিয়র ও জুনিয়র মিলিয়ে দলটির কম্পাউন্ড ইভেন্টের আরচ্যার হিসেবে যোগ দেন অলিম্পিয়ান শ্যামলী রায়, জাতীয় কম্পাউন্ড দলের অধিনায়ক আবুল কাশেম মামুন, শিউলি আক্তার, হুমায়রা, রিকার্ভে একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদকজয়ী তামিমুল ইসলাম ও হাকিম আহমেদ রুবেল, উদীয়মান রাদিয়া আক্তার শাপলা, সুরাইয়া খাতুন, মামুন মোল্লা, আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, স¤্রাট, আজিজুল হক ও আবু হুরায়রা বিশ^াসসহ ১৩ তীরন্দাজ। নবীণ তীরন্দাজ আছেন আরও সাতজন। এদের নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে নড়াইল স্টেডিয়ামে শিষ্যদের নিয়ে অনুশীলন শুরু করেন নিশিথ দাস। প্রতিদিন দুইবেলা তিনি শিষ্যদের অনুশীলন করিয়ে সেরার সেরা হিসেবে গড়ে তোলার কাজে মগ্ন আছেন।
শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরির নিশ্চয়তা পেয়ে প্রতি মাসে আপাতত নূন্যতম ১০ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন তীরন্দাজরা। তবে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা দেয়া হচ্ছে আবুল কাশেম মামুনকে। ২৫ হাজার টাকা পাচ্ছেন হাকিম আহমেদ রুবেল ও তামিমুল ইসলাম। আর অলিম্পিয়ান শ্যামলী পাচ্ছেন ২০ হাজার টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।