Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নওগাঁর মান্দায় ৭ মাসের বাচ্চাকে হত্যার অভিযোগ

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৫০ পিএম

নওগাঁর মান্দায় শশুর শাশুড়ি ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৭ মাসের বাচ্চাকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মান্দা উপজেলার কুশুম্বা ইউপি’র কুশুম্বা গ্রামের হুরমতপাড়ায়। এর আগেও দুই বার বাচ্চা নষ্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে উপজেলার কুশুম্বা ইউপি’র কুশুম্বা গ্রামের হুরমতপাড়ার আবদুল খালেক মন্ডলের মেয়ে শারমিন সুলতানা সাথে একই গ্রামের বাওয় পাড়ার আবদুস সামাদ মন্ডলের ছেলে সাদ্দাম হোসেন মন্ডলের পারিবারিকভাবে এক লাখ টাকা দেনমোহরানায় বিয়ে সম্পন্ন হয়। ২০১৪ সালে প্রথমবার এক মেয়ে সন্তান হলে জন্মের প্রথম দিনই দুধ পান করানোর সময় শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ঢাকায় গিয়ে সাদ্দাম কাঠমিস্ত্রির কাজ শুরু করেন। তার স্ত্রী শারমিন একটি গার্মেন্টস্ কাজ নেয়। ২০১৭ সালে জমি বন্ধক নেবার নাম করে তার শারমিন স্বামীর কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে ঐ জমি তার পিতা আবদুল খালেকের নামে লিখে নেয়। এতে দ্ব›দ্ব কলহ দেখা দেয়। টাকা ফেরত দিতে চেয়েও না দিয়ে টালবাহানার আশ্রয় নেয়। ২০১৮ সালে ঢাক্ াথেকে বাড়িতে ফিরে এলাকায় কাঠমিস্ত্রির কাজ করতে থাকেন। এর মধ্যে শারমিনের মা ফাইমা বেগমের প্ররোচনায় আবারো দ্বিতীয় বাচ্চা নষ্ট করে ফেলেন। গত কয়েকদিন পূর্বে শারমিনকে তার পরিবার অনাগত সন্তান প্রসবের জন্য তার পিতার বাড়িতে যান। কিন্তু ঘটনার দিন গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার সময় মা ফাইমা বেগমের যোগসাজসে আবারো ৭ মাসের বাচ্চাকে নষ্ট করে হত্যা করেছে।

সাদ্দাম হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের আট বছরেও তার জীবনে সুখ এলোনা। এত কষ্ট করে সংসার টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করলেও তার শ্বশুড়, শ্বাশুড়ি ও বউয়ের জন্য সংসারে বিবাদ লেগেই ছিল। তাছাড়া এক লাখ টাকা নেবার পর এ সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দেয়। মেয়েকে সংসার করাবেনা বলে শ্বাশুড়ি তার মেয়ের বাচ্চাকে বারবার নষ্ট করে ফেলছে। এ ঘটনায় প্রথমে কুশুম্বা ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ করলে বারবার নোটিশ দিলেও আসামীরা সেখানে উপস্থিত হননি। পরে বাধ্য হয়ে তিনি মান্দা থানায় শ্বশুড় , শ্বাশুড়ি ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।

উপপরিদর্শক আতিউর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়ের পরিবার ও প্রতিবেশিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের সত্যতা মিলেনি। মেয়েটির শারিরীক ও স্বাস্থ্যগত কিছু সমস্যার কারণে বাচ্চা নষ্ট হয়েছে। এর আগেও দুই বার একই কারণে বাচ্চা নষ্ট হয়েছে। হত্যার খবর ও এক লাখ টাকার দাবী ভূয়া।

থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তারেকুর রহমান সরকার জানান, ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উপপরিদর্শক আতিউর রহমান ও আবদুল বারিককে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ