Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অপরাধীরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে -সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নোয়াখালীর ঘটনা বর্বরতার চরমসীমা

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৩ এএম

নোয়াখালীতে নারী নির্যাতনের ঘটনা বর্বরতার চরমসীমা। এটা জঘন্য অপরাধ। আইন অনুযায়ী অপরাধীরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে। অপরাধীরা যেন কোনোভাবে ছাড় না পায় সে জন্য নির্ভুল তদন্ত রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি আরো বলেন, দেশে বিচারহীনতার কোনো সংস্কৃতি নেই। সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চুপচাপ বসে নেই। একের পর এক অপরাধীদের বিচার হচ্ছে। নোয়াখালীর ঘটনায় দুজন বাদে সবাইকে ধরে ফেলেছি। এখানে কোনো রকমের গাফিলতি নিরাপত্তা বাহিনী দেখায়নি। শিগগিরই আমরা তাদের আইনের মুখোমুখি করব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী যথাযথভাবে কাজ করছে বলেই দেশে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পেরেছি। এই যে ঘটনাগুলো ঘটছে, যেমন-ধর্ষণ, পর্নোগ্রাফির মতো করে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, নারীর ওপর যেভাবে নির্যাতন হয়েছে এটা আমি বলব যে, এ ধরনের জঘন্য অপরাধ যারা করেন অবশ্যই আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি তারা পাবে। আমরা সেই কাজটিই করব, যাতে করে একটা সুন্দর তদন্ত রিপোর্ট আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী দিতে পারে। সেজন্য আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে। সিলেট এমসি কলেজে যে ঘটনাটি ঘটেছে, এটা দুঃখজনক ঘটনা।

তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনার মধ্যে যারা লিপ্ত হয়েছেন তারা জঘন্য অপরাধ করেছেন। তাদের সে শাস্তি পেতে হবে। সেজন্য আমরা একটা নির্ভুল তদন্ত রিপোর্ট দেব, যাতে সেখানে তারা শাস্তি পায়। নোয়াখালীতে যেটা ঘটেছে সেটা বর্বরতার চরমসীমায় আমরা দেখলাম। একজন বিবেকবান মানুষ এ ধরনের কাজ করতে পারে বলে আমার কাছে তা মনে হয় না।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমি সবসময় বলেছি, এ ধরনের ঘটনার পরপর আমরা অপরাধীদের শনাক্ত করছি এবং ধরছি। এখানে কোনো রকমের শৈথিল্য বা গাফিলতি নিরাপত্তা বাহিনী দেখায়নি। সব জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনী যথাযথভাবে কাজ করছে। আমরা শিগগিরই তাদের আইনের মুখোমুখি করব, যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি পায়। সেজন্য সর্বপ্রকার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

দেশে আইনের শাসনের জন্যই কি এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে-এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে আইনের শাসন আছে বলেই আমরা অপরাধীদের ধরতে সক্ষম হয়েছি এবং আইনানুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিচারকের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। এ রকম যদি হতো আমরা চুপচাপ ও আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী চুপচাপ বসে আছে, তাহলে বলতে পারতেন আইনের শাসন নেই। স্থানীয় প্রশাসন, ইউএনও, ডিসি, এসপি সবাই একসঙ্গে কাজ করছেন। এই সমাজবিরোধীরা (ধর্ষক) মানুষ নয় অমানুষ। আমি বলব, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ ও সতর্ক রয়েছে। এজন্যই অপরাধীদের ধরতে ও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারছি।

নোয়াখালীর ঘটনা এক মাস আগের। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন কী করেছে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণত যারা ভিকটিম তারা চাপিয়ে লুকিয়ে যান, প্রকাশ করতে চান না। এই জায়গায় সে রকম হয়েছে কি-না আমি জানি না। যখনই আমাদের নজরে এসেছে তখন থেকেই আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী কাজ শুরু করেছে এবং দ্রæততার সঙ্গে তাদেরকে ধরে ফেলেছে। বিচারহীনতার কারণে এ ধরনের ঘটনা বেশি হচ্ছে কি-না-জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিচারতো সব জায়গায় হচ্ছে। আমরা অনেক অভিযোগ পাচ্ছি। সেগুলো আমলে নিয়ে আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী তদন্ত করে তাদেরকে ধরছে ও ব্যবস্থা নিচ্ছে। যেখানেই অভিযোগের সত্যতা পাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী কাউকে বাদ দিচ্ছে না, সবাইকে ধরছে।



 

Show all comments
  • মোঃ দুলাল মিয়া ৭ অক্টোবর, ২০২০, ১:৩৩ এএম says : 0
    টাকা খাইয়া একটি কেইছ শেষ নাহতে আরেকটি উঠাইয়া দেয় আর জনগণের খেয়াল নতুনে যায় পুরানটি দাপা চাপা দিয়ে দেয় ।এইটা সরকারের চালাকি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ