Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শাহবাগে ধর্ষণবিরোধী মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ৭

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০২০, ৩:৪৩ পিএম

নোয়াখালীতে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনসহ সারা দেশে একের পর এক ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনার বিচারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে কালো পতাকা মিছিলে পুলিশ বাধা দেয়ার পর হাতাহাতি ও লাঠিপেটার ঘটনা ঘটেছে।

এতে ছাত্র ইউনিয়নের ৭ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাখাওয়াত ফাহাদ।

তিনি বলেন, ‘পুলিশের লাঠিপেটায় আমাদের ৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

আহতরা হলেন- ছাত্র ইউনিয়ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের শিক্ষা ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আসমানি আশা, লালবাগ থানা শাখার দফতর সম্পাদক মাহমুদা দিপা, মোহাম্মদপুর থানার সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন। অন্যদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে জড়ো হয়ে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।

প্রগতিশীল বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মী, লেখক, কবি, শিল্পী, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও নারী অধিকারকর্মীরাও তাতে যোগ দেন।

বেলা সোয়া ১টার দিকে তারা শাহবাগ মোড় থেকে কালো পতাকা মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা ঘুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা করলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে পুলিশ তাদের আটকে দেয়।

এ সময় পুলিশের সঙ্গে মিছিলকারীদের হাতাহাতি হয়। পরে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করলে ছাত্র ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন।

প্রায় আধা ঘণ্টা সেখানে অবস্থান শেষে মিছিলকারীরা আবার শাহবাগে হয়ে টিএসসি এলাকায় ফিরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নেন।

প্রসঙ্গত গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকায় ওই গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখেন স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগীরা। এর পর গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তারা।

এ সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তারা বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। সেটি ছড়িয়ে দেয় ইন্টারনেটে। এ ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে রোববার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। সেখানে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়।

এছাড়া গত ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক নববধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে বেঁধে রাখা হয়।

এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়। এ পর্যন্ত মামলার ছয়জন এজাহারভুক্ত আসামিসহ ৮ জন গ্রেফতার হয়েছেন।



 

Show all comments
  • habib ৬ অক্টোবর, ২০২০, ৭:১৯ পিএম says : 0
    Awamlueger hate Bangladesh ki nirapod?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ