দেশে ধর্ষণের প্রতিটি ঘটনাতেই সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় সরকার অপরাধীদের শাস্তি দিচ্ছে। তবে এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়তে হবে। এ ধরনের ইস্যু নিয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। গতকাল সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে সম্প্রতি ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সরকার এসব ঘটনার দায় এড়াতে পারে না। অপরাধীদের প্রশ্রয় নয়, সব ইস্যু নিয়ে রাজনীতি নয়। অন্তত এ ধরনের ইস্যুতে রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটার দায় তো আমরা এড়াতে পারি না। সরকার ক্ষমতায়, কী করে দায় এড়াবে? তবে সরকার এটাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে না। প্রতিটি বিষয়ে সরকার দায়িত্ব নিচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ ধরনের ঘটনায় যারাই জড়িত, তারা যদি আমাদের দলীয়ও হয়ে থাকে অবশ্যই তাকে আইন ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এটি শুধু মুখে বলা হচ্ছে না, বাস্তবেও কার্যকর করা হচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, সমাজবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। দেশের সব নাগরিকের জন্য নিরাপদ চলাচল এবং নারীর প্রতি সহিংসতা ও নিন্দনীয় অপকর্ম রুখতে ধর্ষণের মত সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, ধর্ষণ নিঃসন্দেহে নিন্দনীয় অপরাধ ও সামাজিক ব্যাধি। এসব চরম ঘৃণিত কাজের সঙ্গে যারা জড়িত, তারা বিকৃত রুচির অপরাধী। সরকার এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিচ্ছে। তবু এ ধরনের ঘটনা দেশের কোথাও না কোথাও ঘটছে। সম্প্রতি পাশের দেশেও এমন ঘটনা তীব্র আকার ধারণ করেছে।

‘ধর্ষণসহ নারী নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনায় ছাত্রলীগসহ সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের নাম আসছে’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, রিফাত হত্যা মামলার রায় হয়ে গেল, ফেনীর নুসরাত হত্যা মামলারও রায় হলো। এগুলোর বিচার তো হচ্ছেই। সব ব্যাপারেই শাস্তি হবে। ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলা হয়েছে, সে ব্যাপারেও তো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। দলীয় পরিচয়ের নামও শোনা গেছে, কিন্তু কাউকে ছাড় দেয়া হয়নি। আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডে প্রায় প্রত্যেকেরই ছাত্রলীগের পরিচয়ে ছিলো। কিন্তু তাদের কী শাস্তি থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে? নাকি তাদের চার্জশিট থেকে বাইরে রাখা হয়েছে?