পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বন্যার পানি নামছে। ভাটির দিকে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র চাপ ও ঘূর্ণিস্রাত। প্রধান নদ-নদীসমূহের উজানের অববাহিকায় ভারতে এবং দেশের অভ্যন্তরে তেমন বৃষ্টিপাত হয়নি গত বেশ কয়েকদিনে। এরফলে বানের পানি রোববার থেকে ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। বর্ষণ না হলে বা স্তিমিত থাকলে সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল সোমবার দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহের ৬৭ পয়েন্টে পানি হ্রাস এবং ২৮টি স্থানে বৃদ্ধি পায়। ৫টি নদ-নদী ৫টি পয়েন্টে বিপদসীমার ঊর্ধ্বে রয়েছে। তবে সবক’টি স্থানে তা হ্রাসের দিকে।
উজান থেকে বন্যার পানি নেমে যাওয়া শুরুর সাথে সাথেই নদীভাঙন সর্বত্র ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। উত্তরাঞ্চল, উত্তর-মধ্যাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল হয়ে প্রধান নদ-নদীসমূহের ভাটিতে পদ্মা ও মেঘনার মোহনাব্যাপী পানির প্রবল চাপ, ঘূর্ণিস্রোত অব্যাহত রয়েছে। বানের পানি হ্রাসের সঙ্গে তীব্র নদীভাঙনে নদ-নদীগুলোর দুই তীরের বসতঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা, হাটবাজার, মসজিদ, সড়ক রাস্তাঘাট বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে। ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, পদ্মা, তিস্তা, ধরলা, ঘাঘট, করতোয়া, আত্রাই, ধলেশ^রী, গুর, ভাটিতে মেঘনার মোহনা পর্যন্ত প্রধান নদ-নদীগুলোর উভয় তীরে ভাঙন ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।
সর্বনাশা নদীভাঙনের মুখে বাপ-দাদার বসতভিটে, ফল-ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব ও অসহায় মানুষেরা প্রতিদিনই ছুটছে আশ্রয়ের খোঁজে এখানে-সেখানে। বন্যার পানি পুরোপুরি হ্রাস না পাওয়া পর্যন্ত নদীভাঙনের আতঙ্কে রয়েছেন নদীতীরের হাজারো বাসিন্দা। এবার গত জুন মাস থেকে চলতি অক্টোবর তথা আশি^ন মাস পর্যন্ত দেশের ৩৩ জেলায় কোথাও পাঁচ বারে, কোথাও তিন-চার দফায় অকাল ও নজিরবিহীন বন্যার সাথে নদীভাঙনে অসংখ্য মানুষ বসতভিটে ও আবাদি জমি হারিয়ে ফেলেছে। তাছাড়া বানের পানি হ্রাসের সঙ্গে সবখানে ভেসে উঠছে দীর্ঘস্থায়ী এবারের বন্যায় ক্ষতচিহ্ন।
গতকাল পাউবো’র বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকা ছাড়া প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ৩ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
প্রধান নদ-নদীসমূহের ১০১টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে গতকাল ৬৭টি পয়েন্টে পানি হ্রাস এবং ২৮টি স্থানে বৃদ্ধি পায়। ৬টি পয়েন্টে পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। ৫টি নদ-নদী ৫টি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার নদ-নদীর ৬৭টি পয়েন্টে পানি হ্রাস ও ৩২টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পায়। শনিবার ৫০টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৪৯টি স্থানে হ্রাস পায়।
নদ-নদী প্রবাহের সর্বশেষ তথ্য-উপাত্তে গতকাল জানা গেছে, উত্তর জনপদে যমুনা নদে পানি সবক’িট পয়েন্টে (অবশিষ্ট দু’টিসহ) বিপদসীমার নিচে নেমে গেছে। পদ্মা নদীর উজান-ভাটিতে সবক’টি পয়েন্টে পানি হ্রাস অব্যাহত রয়েছে। পদ্মার গোয়ালন্দে পানি বিপদসীমার মাত্র ২ সে.মি. ওপরে রয়েছে।
উত্তর জনপদের গাইবান্ধায় ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার নিচে নেমেছে। চক রহিমপুরে করতোয়া নদীর পানি আরও হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৮০ সে.মি. ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হচ্ছে। সিংড়ায় গুর নদীর পানি আরও কমেছে এবং বিপদসীমার ১৬ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মধ্যাঞ্চলে ধলেশ্বরী নদীর পানি আরও হ্রাস পেয়ে এলাসিন ঘাটে বিপদসীমার ১২ সে.মি. উপরে রয়েছে। উত্তরাঞ্চলে নওগাঁ জেলার আত্রাইয়ে আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার নিচে নেমেছে। বাঘাবাড়ীতে আত্রাই নদীর পানি হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ১২ সে.মি. উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আপার মেঘনা অববাহিকায় সিলেট বিভাগে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি গতকাল বৃদ্ধি পায়। তবে বিপদসীমার বেশ নিচে রয়েছে উভয় নদীর প্রবাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।