পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আকাশপথে পরিবহনের সময় দুর্ঘটনায় যাত্রী আহত বা নিহত হলে এবং ব্যাগেজ নষ্ট বা হারিয়ে গেলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়াতে সংসদে তোলা বিলের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
গতকাল রোববার জাতীয় সংসদের ভবনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্টিত হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, তানভীর ইমাম, আশেক উল্লাহ রফিক এবং সৈয়দা রুবিনা আক্তার উপস্থিত ছিলেন। সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনসচেতনতা বাড়াতে আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রণালয়কে কমিটি সুপারিশ করা হয়েছে। বৈঠকে আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন) বিল-২০২০ নিয়ে আলোচনা করে এর ওপর কমিটির প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়।
বৈঠকে আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন) বিল ২০২০ এর প্রয়োজনীয় সংশোধন সাপেক্ষে জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন খাতকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে আধুনিক ও আরো যুগোপযোগী কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য কমিটি বৈঠকে সুপারিশ করে। গত ২৩ জুন বিলটি সংসদে তোলা হয়। পরে তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। গত জানুয়ারি মাসে বিলটিতে অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। বৈঠকে আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন) বিল, ২০২০, বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ২০২০-২০২১ সালের বাজেট ব্যবহার এবং বৈশ্বিক করোনা মহামারি প্রতিরোধে মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।এর আগে আকাশপথে পরিবহনের সময় যাত্রীর মৃত্যু বা আঘাত প্রাপ্ত হলে ক্ষতিপূরণ ছিল ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৬০০ টাকা। প্রস্তাবিত আইনে এই ক্ষতিপূরণ এক কোটি ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৩৩৪ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আকাশপথে পরিবহনের ক্ষেত্রে কোনও দুর্ঘটনায় যাত্রীর মৃত্যু বা আঘাত প্রাপ্ত হলে এবং ব্যাগেজ নষ্ট বা হারানোর ক্ষেত্রে ওয়ারশ কনভেনশন-১৯২৯ এর আলোকে দেশে বর্তমানে প্রচলিত দ্য ক্যারেজ বাই এয়ার অ্যাক্ট-১৯৩৪, ‘দ্য ক্যারেজ বাই এয়ার (ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন) অ্যাক্ট-১৯৬৬ এবং দ্য ক্যারেজ বাই এয়ার (সাপ্লিমেন্টারি কনভেনশন) অ্যাক্ট-১৯৬৮ আছে। এই তিনটি আইনের আলোকে প্রাণহানি, আঘাত ও ব্যাগেজ নষ্ট বা হারানোর ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ কম ছিল। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে ১৯৯৯ সালে মন্ট্রিল কনভেনশন গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ওই কনভেনশনে ১৯৯৯ সালেই স্বাক্ষর করে।
১৯৯৯ সালে মন্ট্রিল কনভেনশন গ্রহণের পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও বাংলাদেশে তা অনুসমর্থন হয়নি।
মন্ট্রিল কনভেনশনটি অনুসমর্থন করে নতুন আইন প্রণয়ন করলে মৃত্যু, আঘাত ও মালামাল হারানো বা নষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাওয়া সহজ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।