বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সুনামগঞ্জের ছাতকে চেলা ও ইছামতি রুটে ৭ মাস ধরে চুনাপাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। করোনার প্রভাবে ভারত চুনাপাথর রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আর্থিক ভাবে ক্ষতি গুনছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। রুট দুটিতে চুনাপাথর আমদানি বন্ধ থাকায় এ অঞ্চলের ১০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। অনাহারে-অর্ধহারে মানবেতর জীবন কাটছে তাদের। বাণিজ্যিক ব্যাংক গুলো থেকে ঋণ গ্রহণ করে অনেক ব্যবসায়ীরা চোখ-মুখে দেখছেন অন্ধকার।
জানা গেছে, বৃটিশ আমল থেকে বৈধ পথে চুনাপাথর আমদানি করে আসছেন ছাতকের ব্যবসায়ীরা। চুনাপাথর আমদানির সূত্র ধরেই এখানে গড়ে উঠেছে একাধিক কারখানা। আমদানিকৃত চুনাপাথর ছাতক থেকে নৌপথ ও সড়ক পথে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে পাঠানো হয়ে থাকে। কিন্তু গত ২৯ ফেব্রæয়ারি থেকে চেলা ও ইছামতি রুটে চুনাপাথর রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। করোনার অজুহাতে চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করার সাত মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত চালু হয়নি। একই অজুহাতে গত ২৮ মার্চ থেকে বিসিআইসি’র নিয়ন্ত্রাণাধীন রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান ছাতক সিমেন্ট কোম্পানীরও চুনাপাথর আমাদানি বন্ধ রয়েছে। ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষ ভারত থেকে চুনাপাথর আমদানির ব্যাপারে সেখানের ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করলেও কোন সুরাহা হচ্ছে না। ফলে কারখানার সিমেন্ট উৎপাদনেও বিঘিœত হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর উৎপাদন বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এফবিসিসিআই ভূমি সংক্রান্ত কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও ছাতক লাইম স্টোন ইম্পোটার্স এন্ড সাপ্লায়ার্স গ্রুপের প্রেসিডেন্ট আহমদ সাখাওয়াত সেলিম চৌধুরী বলেন, চেলা ও ইছামতি রুটে চুনাপাথর আমাদানি বন্ধ থাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বড় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। চুনাপাথর আমদানির বিষয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা হলেও এখন পর্যন্ত সুরাহা হয়নি।
চুনাপাথর আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক না হলে এবার সরকারের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বড় বাঁধা হয়ে দাড়াবে।
ছাতক লাইম স্টোন ইম্পোটার্স এন্ড সাপ্লায়ার্স গ্রুপের সাবেক সেক্রেটারী আবদুল হাই আজাদ বলেন, এখানে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ১০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। এতে সরকার প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। আর অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের টাকায় কেনা শতশত বারকি নৌকা। ভারত থেকে দ্রুত চুনাপাথর আমদানী কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা। ছাতক শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বলেছেন, চুনাপাথর আমদানি কার্যক্রম চালু হলে রাজস্ব ঘাটতি পুষিয়ে উঠা সম্ভব হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।