পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূ গণধর্ষণের রেশ কাটতে না কাটতেই সিলেটে ফের ঘটলো ধর্ষণের ঘটনা। এমসি কলেজে গৃহবধূ ধর্ষণের রেশ না কাটতেই সিলেটে আবারো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আর এবারও অভিযোগের তীর এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম রাগিব হোসেন নিজু (১৮)। সে মদন মোহন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। জানা গেছে, বেড়ানোর কথা বলে নগরীর দাঁড়িয়াপাড়ায় ১৪ বছরের এক কিশোরী ধর্ষণ করেছে নিজু।
এদিকে, গাইবান্ধায় বাড়িতে ডেকে এনে কিশোরী ও বরগুনার তালতলীতে মুখ বেঁধে এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া ল²ীপুরের রায়পুরে বিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক কিশোরসহ ৩ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সিলেট : সিলেট নগরীর দাঁড়িয়াপাড়ায় ১৪ বছরের এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। রাগিব হোসেন নিজু (১৮) নামের এক তরুণের বিরুদ্ধে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। কিশোরীকে গত শুক্রবার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ওই রাতেই কিশোরীর মা বাদী হয়ে নিজুকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। নিজু দাঁড়িয়াপাড়ায় এলাকার বাসিন্দা। সে মদন মোহন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। নিজু ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানান গেছে।
সূত্র জানায়, ২৯ সেপ্টেম্বর বেড়ানোর কথা বলে কিশোরীকে নিয়ে বের হয় নিজু। এরপর ওই কিশোরীকে সে নিজ বাসার ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়। পরে কিশোরী বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নিজুসহ তার সহযোগীরা উদ্যোগ নিলেও বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মিঞা বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ মামলার আসামিকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে মামলার পর রাতে ওসমানী মেডিকেলের ওসিসি ভর্তি কিশোরীকে দেখতে যান সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ ও কোতয়ালী থানার ওসি সেলিম মিয়া।
গাইবান্ধা : গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার মালিবাড়ী ইউনিয়ে এক কিশোরীকে কৌশলে ডেকে এনে ধর্ষণে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার রাতে সাইফুল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক সাইফুল ওই ইউনিয়নের কিশামত মালিবাড়ী ধর্মপুর গ্রামের এনছের আলীর ছেলে। পুলিশ জানায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাইফুল ইসলাম কৌশলে পার্শ্ববর্তী এলাকার ওই কিশোরীকে তার বাড়িতে ডেকে এনে ধর্ষণ করে। পরে থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পরিবার। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে তার নিজ বাড়ি থেকে সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আমতলী (বরগুনা) : বরগুনার তালতলীতে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুস সোবাহান (৬৫) নামের এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে তালতলী থানায় দায়েরকৃত মামলার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গত শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লালুপাড়া এলাকার আব্দুস সোবাহান হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে ফকিরহাট বাজারে মুদি মনোহরী দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছে। ওই বাজারের পাশেই ইদুপাড়া এলাকার পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া একটি মেয়ে গত সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তার দোকানে বাজার করতে যায়। এ সময় ব্যবসায়ী আব্দুস সোবহান মেয়েটিকে ডেকে কৌশলে দোকানের পিছনে থাকা একটি রুমে নিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেন। ধস্তাধস্তিতে মেয়েটির মুখের বাঁধন খুলে যায়। তখন ওই শিশুর চিৎকার শুনতে পায় শাকিল নামের এক ক্রেতা। ওই ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য যুবক শাকিলকে হুমকি দেয় সোবাহান। এরপর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ভিকটিম পরিবারের সাথে একাধিকবার সমঝোতার চেষ্টা করেন তিনি।
পরে বৃহস্পতিবার রাতেই শিশুটির বাবা তালতলী থানায় আব্দুস সোবাহান হাওলাদারকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। রাতেই পুলিশ তাকে ফকিরহাট বাজার থেকে গ্রেফতার করে। তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান মিয়া মুঠোফোনে বলেন, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত বৃদ্ধকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ল²ীপুর : ল²ীপুরের রায়পুরে বিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আশরাফুল ইসলাম তামিম নামে এক কিশোরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল দুপুরে তাকে জেলা আদালতের পাঠিয়েছে পুলিশ। একই সময় ক্ষতিগ্রস্ত কিশোরীকে সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা দেওয়া হয়। অভিযুক্ত তামিম উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চরকাছিয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মো. সেলিমের ছেলে। গত শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তামিম স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্র ও ক্ষতিগ্রস্ত কিশোরী একই প্রতিষ্ঠানের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩ বছর আগে স্কুলছাত্রীর সঙ্গে তামিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তার সঙ্গে তামিম দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিন্তু বিয়ের জন্য চাপ দিলেই তামিম বিভিন্ন অজুহাত দেখায়। স¤প্রতি ছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ দিলে তামিম অস্বীকৃতি জানায়। এতে উপায় না পেয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। পরে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।
তবে অভিযুক্তের বাবা মো. সেলিম বলেন, কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। মেয়েকে বিয়ে করার জন্য তার (ছাত্রী) পরিবার পরিকল্পিতভাবে ঘটনা সাজিয়েছে। রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল বলেন, অভিযুক্তের সামনেই ছাত্রী জবানবন্দি দিয়েছে। এর ভিত্তিতে ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।