মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অবশেষে খুলে দেওয়া হলো ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের হাথরাসে গণধর্ষিতা তরুণীর হাথরসের সীমান্ত। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ থেকে সাংবাদিকরা গ্রামের ভেতরে যেতে পারবেন। তবে এখনই কোনো রাজনৈতিক নেতাকে গ্রামের ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
হাথরসের যুগ্ম ম্যাজিস্ট্রেট প্রেম প্রকাশ মীনা জানান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে, সেজন্য এই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আজ থেকে সাংবাদিকরা গ্রামের ভেতরে যেতে পারেন। তবে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি বা নেতাকে ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। প্রসঙ্গত, হাথরসে ১৯ বছরের দলিত এক তরুণী গণধর্ষণের ঘটনায় গত সোমবার মারা গেছেন। তার পরেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে দেহ পরিবারের হাতে তুলে না দিয়ে জোর করে তা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়ে পড়েছে ভারত। অবশ্য অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নির্যাতিতার পরিবারের ন্যায় বিচারের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল ভারত। গত বৃহস্পতিবার হাথরসে যাওয়ার পথে গ্রেপ্তার করা হয় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী ও সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। তাদের জোর করে দিল্লি ফিরিয়ে আনা হয়।
শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল সেখানে গেলে তাদেরও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আজ শনিবার ফের হাথরসে রওয়ানা হয়েছেন রাহুল গান্ধী ও বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সঙ্গে যাবেন কংগ্রেসের বাকি সাংসদরা। যেতে পারেন অখিলেশ যাদবও।
এদিকে ঘটনার পর থেকে গ্রামের বাইরে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। শুধু গ্রামের বাইরেই নয়, নির্যাতিতার বাড়ির বাইরেও মোতায়েন করা হয় পুলিশ। নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তাদের সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ঘটনা সম্পর্কে কিছু বলতে তাদের নিষেধ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
সাংবাদিকদেরও গ্রামের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। যা নিয়ে সরব হয় বিরোধী দল কংগ্রেসও। উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়, যোগি গ্রামের মধ্যে সাংবাদিকদের ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন, কারণ সংবাদমাধ্যম কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোটা দেশের সামনে তুলে ধরতে পারত। তারা যোগির জঙ্গলী রাজের ছবি সবাইকে দেখিয়ে দিতে পারতেন। তাই সংবাদমাধ্যমের ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী যোগী আদিত্যনাথ সরকার ও পুলিশের সমালোচনা করে বলেন, এ ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ সরকার ও বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
তিনি দাবি করেন, সংবাদমাধ্যম ও বিরোধীদের গ্রামের ভেতরে ঢুকে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া উচিত প্রশাসনের। এই দাবির কয়েক ঘণ্টা পর সংবাদমাধ্যমের জন্য দরজা খুলে গেল গ্রামের। তবে রাজনৈতিক নেতাদের এখনই গ্রামে ঢুকতে দেবে না যোগি সরকার। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।