নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও ভোটগ্রহণ শনিবার শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে। বাফুফে নির্বাচনকে উপলক্ষ্য করে এদিন সকাল থেকেই উৎসবমুখর ছিল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল। নির্বাচনের প্রার্থী, ভোটারদের সঙ্গে উৎসুক ফুটবলপ্রেমী ও সংগঠকদের পদচারনায় মুখরিত ছিল পাঁচ তারকা হোটেলটি। এদিন সকাল ১১টায় কাজী মো. সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে শুরু হয়ে প্রায় দুইঘন্টার মধ্যেই শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হয় এজিএম। এই সাধারণ সভায় অনুমোদন হয়েছে গত এক বছরে বাফুফের কার্যক্রম পরিচালনা ও আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং ২০২১ সালের কার্যক্রমের বাজেট। দ্বিতীয় পর্বে ছিল ভোটগ্রহণ। এজিএমের পর দুপুর ২টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। বাফুফের আগামী চার বছরের নেতৃত্ব বেছে নিতে ১৩৯ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১৩৫ জন নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। চারজন ভোট দিতে আসেননি। এদের মধ্যে তিন ক্লাব যথাক্রমে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও চট্টগ্রাম আবাহনী এবং ফরিদপুর জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাউন্সিলর রয়েছেন। এখন ভোটগণনা চলছে।
প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে যখন বার্ষিক সাধারণ সভা চলছিল, তখন বাইরে প্রার্থীরা ব্যস্ত ছিলেন ভোটারদের মন জয় করতে। কোন ভোটার যখন হলরুমের বাইরে এসেছেন তখনই তাকে ঘিরে ধরেছেন প্রার্থীরা। বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য নন এবংভোটার নন এমন যারা প্রার্থী আছেন তাদের এজিএম স্থলে প্রবেশের অনুমতি ছিল না।
গত কয়েক বছর ধরে সালাউদ্দিন বিরোধীদের অভিযোগ ছিল বাফুফেতে দূর্নীতি হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে। কিন্তু এজিএমে কোনো কাউন্সিলর এ বিষয় নিয়ে কেউই কথা বলেননি। দু’একটি বিষয় ছাড়া কোনো কিছু নিয়েই তেমন আপত্তি তোলেননি কাউন্সিলররা। ফলে হট্টগোল ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয় বাফুফের বার্ষিক সাধারণ সভা ও ভোটগ্রহণ।
এজিএমের পর বাফুফের বর্তমান কমিটির সদস্যও বর্ষীয়ান ফুটবল সংগঠক হারুনুর রশিদ বলেন, ‘এমন সুন্দর এজিএম আমি কখনোই দেখিনি। দু’ একটি বিষয় নিয়ে কেউ কেউ কথা বলেছেন। এজিএমে এটা হওয়াই স্বাভাবিক। কেউ কেউ আগামী দিনে ফুটবল উন্নয়নে পরামর্শ দিয়েছেন। একজন কাউন্সিলর আয়-ব্যয় নিয়ে একটা ত্রুটি উল্লেখ করেছেন। সেটা সংশোধন করা হলে সব কিছুই অনুমোদন হয়েছে।’
এদিকে ভোটগ্রহণ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন জানান, শান্তিপুর্ণ ও সুষ্ঠ পরিবেশেই ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।