Inqilab Logo

সোমবার, ১০ জুন ২০২৪, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভারতের মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতাল ভেঙে পড়ার দৃশ্য ভাইরাল!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০২০, ৭:৫৩ পিএম

ভারতের মুম্বাইয়ের ছয়তলার একটি হাসপাতালের গোটা বিল্ডিং ভেঙে গুঁড়িয়ে গেল চোখের সামনে। সেই দৃশ্য এখন ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কোনও রকম বিস্ফোরণ ঘটানো ছাড়াই একটি আস্ত হাসপাতাল ভেঙে পড়ার দৃশ্য দেখে অনেকেই হতবাক। কোনও বিস্ফোরণ না ঘটিয়েই গোরেগাঁয়ের সিদ্ধার্থ জেনারেল হাসপাতালের বিল্ডিং বুধবার ভাঙল বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। নতুন করে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য পুরনো বিল্ডিংগুলো ভেঙে দেওয়ার কাজ চালাচ্ছিল পুরকর্মীরা। -এই সময়

হাসপাতালের একাংশ ভাঙার জন্য দুসপ্তাহ ধরে কাজ করার কথা ছিল সেখানে । দুসপ্তাহে দুটি বিল্ডিং ভাঙার কাজ করার কথা থাকলেও একদিনেই একটি বিল্ডিং ভেঙে পড়ল। হাসপাতাল ভেঙে পড়ার ছবি ও ভিডিও এখন ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, নতুন করে হাসপাতাল তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। ওই জায়গাতেই ৩০০টি বেডের জায়গা ধরে এমন হাসপাতালে তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ীই বিল্ডিং ভেঙে ফেলার কাজ চলছিল। গোটা হাসপাতালটি তৈরি করতে খরচ হবে ৩০০কোটি টাকা। এই অত্যাধুনিক হাসপাতাল তৈরি হলে মালাদ ও যোগেশ্বরীর গোটা এলাকার মানুষজন উপকৃত হবেন। ১৯৯৮ সালে পশ্চিম গোরেগাঁয়ের সিদ্ধার্থনগরের ১৭২টি বেডের হাসপাতালে পরিষেবা চালু করে বিএমসি। কিন্তু হাসপাতালের বিল্ডিংয়ের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ায় শেষ বছরে ওই হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে যায়। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, পুরনো বিল্ডিং ভেঙেই সেখানে নতুন করে হাসপাতাল তৈরি হবে।

মোট ২.১ একর জমির উপর অবস্থিত হাপাতালটি। সেই জমিতেই বিএমসি ৩৩.৫৮৮স্কোয়ার মিটার জমিতে পুনরায় নির্মাণকাজ করার অনুমতি পেয়েছে। আগে ছতলার বিল্ডিং থাকলেও নতুন করে ১১তলা বিল্ডিংয়ের হাসপাতাল তৈরি চিন্তা রয়েছে পুরসভার। জানা গিয়েছে, ওই হাসপাতালে মিলবে অত্যাধুনিক চিকিত্‍সা পরিষেবা। বেডের সংখ্যা বাড়ানোর ফেল রোগী ভর্তির সমস্যা অনেকটা কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে। বলতে গেলে গোটা হাসপাতালটিই মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালের রূপ দিতে চাইছে বিএমসি। পুরসভার কর্মীরা আে থেকেই হাসপাতালের সব চেয়ার, দরজা, টেবিল, জানালা খুলে রেখেছিল। একসঙ্গে বিল্ডিংটি ভাঙার জন্য হাসপাতালের নিচের তলার তিনটে বাদে সব পিলার ভেঙে দিয়েছিলেন পুরসভার কর্মীরা। মাত্র তিনটি পিলারের উপরই বিল্ডিংটি দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু বুধবার সব অপেক্ষার অবসান ঘটাল তাঁরা। ওই দিন তিনটি পিলারের মধ্যে দুটি পিলারও ভেঙে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই গোটা বাড়িটি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে মাটিতে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ