Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাফুফের বহুল আলোচিত নির্বাচন শনিবার

উৎসবমুখর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও

জাহেদ খোকন | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০২০, ৭:৪৭ পিএম

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বহুল আলোচিত নির্বাচন শনিবার। নির্বাচনকে ঘিরে বর্তমানে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে দেশের ফুটবলাঙ্গনে। সবার মাঝেই ছড়িয়ে পড়েছে নির্বাচনী উত্তাপ। তবে বাফুফে নির্বাচন উপলক্ষে এই মুহুর্তে উত্তাপের কেন্দ্রবিন্দু প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁও। যেখানে নির্বাচনী সাধারণ সভা শেষে চলবে ভোটগ্রহণ। তাই শুক্রবার থেকেই এখানে অবস্থান করছেন কাউন্সিলর থেকে শুরু করে প্রার্থীরাও। ভোটারদের পদচারনায় এখন মুখরিত অভিজাত এই হোটেলটি। বলা যায় ভোটযুদ্ধের আগে উৎসবমুখর প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁও। এমন উৎসবমুখর পরিবেশেই প্রার্থীরা কাউন্সিলরদের কাছে ভোট চেয়ে ব্যস্ত সময় পার কারছেন। শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। এরপর এক ঘন্টার বিরতিতে দুপুর ২টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে ১৩৯ জন ভোটার নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে বেছে নেবেন আগামী চার বছরের জন্য বাফুফের নেতৃত্ব।

বাফুফের এবারের নির্বাচনে দু’টি প্যানেল অংশ নিচ্ছে। আছেন ক’জন স্বতন্ত্র প্রার্থীও। বর্তমান সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের সম্মিলিত পরিষদের বিরুদ্ধে লড়ছে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (বিডিডিএফএ) এবং বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন (বিএফসিএ) সমর্থিত সমন্বয় পরিষদ। নির্বাচনে ২১ পদের বিপরীতে সম্মিলিত পরিষদ পূর্ণ প্যানেল দিলেও সাবেক তারকা ফুটবলার শেখ মো. আসলামের নেতৃত্বাধীন সমন্বয় পরিষদ দিয়েছে ১৯ জনের প্যানেল। তারা সভাপতি ও এক সহ-সভাপতি প্রার্থী দিতে পারেনি। আর স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছেন সাতজন। মোট প্রার্থী সংখ্যা ৪৭। এদের মধ্যে একটি সভাপতি পদের জন্য ৩, সিনিয়র সহ-সভাপতি এক পদের জন্য ২, চার সহ-সভাপতি পদের বিপরীতে ৮ জন এবং ১৫টি সদস্য পদের জন্য লড়ছেন ৩৪ প্রার্থী। কাউন্সিলরদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবের রয়েছেন ৫৩ জন, জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ৭২ এবং অন্যান্য ভোটার রয়েছেন ১৪ জন।

সভাপতি পদে লড়ছেন তিনজন। কাজী সালাউদ্দিনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বি শফিকুল ইসলাম মানিক। তবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও বাফুফের বর্তমান সহ-সভাপতি ও সাবেক তারকা ফুটবলার বাদল রায়ের নামও ব্যালট পেপারে থাকবে। কারণ নির্ধারিত সময়ের পর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন তিনি। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আবদুস সালাম মুর্শেদীর প্রতিপক্ষ শেখ মো. আসলাম। চারটি সহ-সভাপতি পদের বিপরীতে প্রার্থী হলেন আটজন। বর্তমান তিন সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ, মহিউদ্দিন আহমে মহি ও তাবিথ আউয়াল ছাড়াও এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এসএম আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান, শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান, আমিরুল ইসলাম বাবু, আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ও ইমরুল হাসান। ।

এই নির্বাচনে চতুর্থবারের মতো সভাপতি পদে লড়ছেন কাজী সালাউদ্দিন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সালাউদ্দিন ৬২-৪৯ ভোটে মেজর জেনারেল (অব.) আমিন আহমেদ চৌধুরীকে হারিয়ে প্রথমবার সভাপতি হন। ২০১২ সালে সভাপতি প্রার্থী আবদুর রহিম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান। পরে সালাউদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন ফিফা পর্যবেক্ষক মণিলাল ফার্নান্ডো। ২০১৬ সালে বাঁচাও ফুটবল পরিষদের সভাপতি প্রার্থী কামরুল আশরাফ খান পোটনকে ৮৩-৫০ ভোটে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো সভাপতির চেয়ারে বসেন কাজী সালাউদ্দিন।

 

সম্মিলিত পরিষদ প্যানেল

 

সভাপতি: কাজী মো. সালাউদ্দিন।

 

সিনিয়র সহ-সভাপতি: আবদুস সালাম মুর্শেদী।

 

সহ-সভাপতি: ইমরুল হাসান, কাজী নাবিল আহমেদ, আমিরুল ইসলাম বাবু ও আতাউর রহমান মানিক।

 

সদস্য: হারুনুর রশিদ, শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর, সত্যজিৎ দাশ রুপু, ইলিয়াছ হোসেন, বিজন বড়ুয়া, অমিত খান শুভ্র, ইকবাল হোসেন, মাহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম, মো. জাকির হোসেন, মাহফুজা আক্তার কিরণ, আসাদুজ্জামান মিঠু, কামরুল হাসান হিলটন, সৈয়দ রিয়াজুল করিম, ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ ও নুরুল ইসলাম নুুরু।

 

সমন্বয় পরিষদ প্যানেল

 

সিনিয়র সহসভাপতি : শেখ মো. আসলাম।

 

সহ-সভাপতি : মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, এসএম আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান ও শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান।

 

সদস্য : ইমতিয়াজ সুলতান জনি, ফজলুর রহমান বাবুল, হাসানুজ্জামান খান বাবলু, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, শাকিল মাহমুদ চৌধুরী, আরিফ হোসেন মুন, আমের খান, সৈয়দ মোস্তাক আলী মুকুল, মোহাম্মদ সাব্বির হোসেন, আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, টিপু সুলতান, আ ন ম আমিনুল হক মামুন, মঞ্জুরুল আহসান, মহিদুর রহমান মিরাজ ও মিজানুর রহমান মিজান।

 

স্বতন্ত প্রার্থী

 

সভাপতি: বাদল রায় ও শফিকুল ইসলাম মানিক।

 

সহ-সভাপতি: তাবিথ আউয়াল

 

সদস্য : রায়হান কবির, সাইফুর রহমান মনি, সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীন ও মো. রফিক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ