Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বাংলাদেশিসহ ছয় শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশী বসনিয়া ও স্লোভেনিয়ার জঙ্গলে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০২০, ৬:২৭ পিএম

কনকনে শীতে ঠান্ডার মধ্যে বিপুল বাংলাদেশিসহ ছয় শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশী আশ্রয় নিয়েছেন বসনিয়া ও স্লোভেনিয়ার জঙ্গলে।মানব পাচারকারীরা তাদের বিভিন্নভাবে ক্রোয়েশিয়া হয়ে বসনিয়া বা স্লোভেনিয়ায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে অ্যাড্রিয়াটিক সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিসহ ইউরোপের দেশগুলোতে পাঠাতে তাদের জড়ো করা হয়েছে। -রয়টার্স, এপি

অবৈধভাবে ইউরোপে যাত্রার সময় গত মঙ্গলবার স্লোভেনিয়ায় ১১ বাংলাদেশিসহ শতাধিক অভিবাসী আটক করা হয়েছে। রোববার আটক করা ১৪৪ জন। এপ্রিল থেকে বসনিয়ায় অভিবাসীদের জন্য অন্তত সাতটি শিবির পরিচালনা করে আসছিলো আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। কর্তৃপক্ষ শিবিরগুলো উঠিয়ে দিয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে ওই সব শিবিরের লোকজন ক্রোয়েশিয়ার সীমান্তবর্তী ভেলিকা ক্লাদুসা শহরের কাছের বন ও পরিত্যক্ত কারখানায় আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে রাস্তার পাশে ছাপরা তুলে অবস্থান করছেন। তারা ইতালি পাড়ি দেয়ার অপেক্ষায় আছেন। সেখানে বাংলাদেশি ছাড়াও পাকিস্তান, মরক্কো ও আলজেরিয়ার নাগরিক রয়েছেন। হাড়কাঁপানো শীতে লোকজন আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা পাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা জঙ্গলে ঘোরাঘুরি করছেন, নামাজ পড়ছেন, পরিত্যক্ত কারখানায় রান্না করছেন। সীমান্তবর্তী সড়ক ধরে ক্রোয়েশিয়ার পথে যাত্রা করেছেন সারি সারি লোক। ২৫টি ছবির সবটিতেই বাংলাদেশিদের মুখ দেখা গেছে।

বসনিয়ার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তা আজুর স্লিভিচ বলেন, সার্বিয়া থেকে রাবারের নৌকায় চড়ে দ্রিনা নদী পেরিয়ে অভিবাসীরা বসনিয়ায় পৌঁছান। নদীটি তীব্র খরস্রোতা আর উত্তাল। প্রায়ই নৌকাডুবিতে অনেক মানুষ মারা যান। বাংলাদেশি মোহাম্মদ আবুল বলেন, তাদের থাকার ঘর নেই, পানি নেই, টয়লেট নেই, চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। তাদের ৫০০ জনকে বিহাক ও ভেলিকা ক্লাদুসা শহরের শিবির থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। জঙ্গলে আশ্রয় নেয়া ছাড়া উপায় ছিলো না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ