পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি উভয়েই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ধর্ষণ আর দুর্নীতিতে সরকার করোনায় আক্রান্ত। আর বিএনপি করোনায় আক্রান্ত মাজাভাঙা রাজনীতিতে। এই করোনা থেকে সবাইকে বের হয়ে আসতে হবে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, সরকারকে ধর্ষণ আর দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। অন্যদিকে বিএনপিকেও মাজাভাঙা রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তা না হলে এ দেশের ভবিষ্যত অন্ধকার। দেশের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারছে না।
তিনি বলেন, দেশে যে ভাবে ধর্ষণ আর গণধর্ষণ করছে ছাত্রলীগের ছেলেরা, তাতে এ দেশের মা বোনেরা আর শান্তিতে থাকতে পারছে না। কোথাও শান্তিতে বের হবে, তারও উপায় নাই। অন্যদিকে দুর্নীতি যেভাবে ছড়িয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের আর বাঁচার উপায় নাই।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, দেশে সুশাসন নেই। সুশাসন থাকলে ছাত্রলীগ এভাবে যেখানে সেখানে ধর্ষণ করতে পারত না। সরকারপ্রধানের উদ্দেশে তিনি বলেন, এনাফ ইজ এনাফ। আর না। এবার ক্ষমতা ছাড়েন। অনেক হয়েছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। কোথাও কেউ শান্তিতে নেই। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে মূলত বঙ্গবন্ধুকেই অপমান করছে সরকার। কারণ বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন ক্ষমতা সবসময় জনগণের হাতে ন্যাস্ত থাকবে। বঙ্গবন্ধু শোষণবিহীন সমাজ ব্যবস্থার জন্য লড়াই করেছেন।
পেঁয়াজ নিয়ে অস্থিরতার প্রসঙ্গ টেনে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে তেলেসমাতি খেলছে সরকার। আগেই ব্যবস্থা নিলে এরকম পেঁয়াজকা- হতো না। ভারত নীতি পরিহার করতে হবে। নিজের উৎপাদন বাড়ানো ও অন্যান্য দেশের পেঁয়াজ আনতে হবে। তাহলে ভারতও এভাবে খেলতে পারবে না।
প্রত্যেক বাসাবাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবার জন্য আলাদা কক্ষ তৈরি করতে সরকারি আদেশ জারিরও দাবি জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।