বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রত্যাশা ছিল আগামীতে সিলেট ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিবে সাইফুর। তার মধ্যে সাহস, মেধা ও লড়াকুর মনোভাব দেখেছিলেন তার গুরু নাজমুল ইসলাম। কিন্তু সেই প্রত্যাশা গুড়েবালি। বাহারীগুন (!) বিচারের সেই নেতাকে হতাশ করে বালক বধূ গণধর্ষন ঘটনা নেতৃত্ব দিয়েছে তার শিষ্য সাইফুর রহমান। যদিও সাইফুর এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা। তার সাথে ধর্ষণের সহযোগীরাও এক দলের ও বলয়ের রাজীতিক। তারা সকলেই নাজমুলের শিষ্য। নাজুমল সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ নেতা। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি। দলের কমিটিতে সম্ভাব্য সভাপতি হওয়ার দৌড়ে ব্যাপক তৎপর তিনি। লন্ডন-সিলেট কানেকশনও তার ভালো। টিলাগড়ে রয়েছেন দাদা ভাই, থানা পুলিশেও রয়েছে এলাকার ভাই। যদিও নাজমুল ইসলাম এমন অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন,আমি সিলেট সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী। সাইফুর এমসি কলেজের ছাত্র। এই মামলার বাকিরাও হয় এমসি কলেজের ছাত্র নতুবা বহিরাগত। ফলে তাদের কারোই অনুসারী হওয়ার সুযোগ নেই আমার । নাজমুলের দাবি, জেলার ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততার কারণে ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীর সাথেই রয়েছে তার পরিচয় আছে। তেমনি পরিচয় ছিলো সাইফুরসহ এই মামলার কয়েকজন আসামির সাথে। তবে এই ঘটনার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাজমুলের সাথে অভিযুক্তদের অনেক ছবি ঘুরে বেড়িয়েছে। কিন্তু এই মুর্হূতে নিজের আইডি লক করে রেখেছেন তিনি। ২৯ আগস্ট ২০১৬ সালে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাইফুরের জন্মদিনে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি পোস্ট দেন নাজমুল। এই পোষ্টে তার ভূয়সী প্রশংসা করে সাইফুরই আগামীদিনে এমসি কলেজ ও জেলা ছাত্রলীগকে নেতৃত্ব দেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সেই পোস্টে নাজমুল লিখেন, আমার ক্ষুদ্র রাজনৈতিক জীবনে অনেক সহযোদ্ধা পেয়েছি, কিন্তু সাইফুর একজনই। আজ এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা, স্নেহাশীষ ছোট ভাই সাইফুরের জন্মদিন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এবং আমি নিশ্চিত জানি আগামীর এমসি কলেজ ও সিলেট জেলা ছাত্রলীগ সাইফুরের মতো মেধাবী, সাহসী ও লড়াকুরাই নেতৃত্ব দেবে, সেই দিনটি দেখার অপেক্ষায় আজকের জন্য শুভকামনা। তবে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের মামলায় সাইফুরকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফেসবুকে আরেকটি পোস্ট দেন নাজমুল। এতে সাইফুরকে গ্রেপ্তারের সংবাদের একটি লিংক শেয়ার করে নাজমুল লিখেন- এমসি কলেজে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধন্যবাদ জানাই প্রশাসনকে মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করায়। আশা করি দ্রুতসম সময়ের মধ্যে অন্যরাও গ্রেপ্তার হবে। এ প্রসঙ্গে নাজমুল ইসলাম বলেন, জন্মদিনে সব নেতাকর্মীকেই আমি ফেসবুকে শুভেচ্ছা জানাই। তবে নাজুমল বলেছেন, যে কাউকে নৈতিক-আদর্শিক শিক্ষা প্রদানের প্রদান দায়িত্ব পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। তারা যদি ব্যর্থ হয় কতটুকুইবা করতে পারি আমরা! একটি নির্ভরশীল সূত্র জানিয়েছে, নাজমুলের ফোন ট্র্যাক ধর্ষণ মামলার আসামীদের গ্রেফতারে সহায়ক হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।