পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহামারি করোনার কারণে ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের খেলাপি না করার বিশেষ সুবিধা আরেক দফা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর করার ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, এই মুহ‚র্তে ব্যাংকগুলোর কিছু ক্ষতি হলেও সরকার ব্যবসায়ীদের স্বার্থ বেশি করে দেখবে। ব্যবসায়ীরা ভালো থাকলে ব্যাংকগুলোও ভালো থাকবে। এজন্য খেলাপি ঘোষণা সংক্রান্ত সময়সীমা ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিষয়টি শুধু ব্যাংকগুলোর আয় নয়, অনেকগুলো বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটা একটা বৃহত্তর স্বার্থ। এই বৃহত্তর সার্থে ব্যবসায়ীদের পক্ষে আছি।
এ সিদ্ধান্তে ব্যাংকগুলো লোকসানে পড়বে কি না? প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা না বাঁচলে ব্যাংকও বাঁচবে না।’ ঋণ পরিশোধে ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা দেয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, গত অর্থবছরে ব্যাংকগুলো ভালো মুনাফা করেছে। ফলে ঋণের কিস্তি পরিশোধের মেয়াদ একটু বাড়ানো হলেও তাদের মুনাফা খুব বেশি কমবে না। তাছাড়া ঋণ তো মওকুফ করে দেয়া হয়নি। শুধু আদায়ের মেয়াদ কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। এর পর তারা ঋণ আদায় করতে পারবে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বছরজুড়েই ঋণ খেলাপি হওয়া ঠেকিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তি না দিলেও চলবে। কিস্তি না দিলে কেউ ঋণ খেলাপি হবে না। একইভাবে কয়েক দফা এ সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। ফলে দেশের ব্যাংকগুলো ক্ষতিতে পড়ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে গতকাল সংক্ষিপ্ত অনলাইন ব্রিফিং-এ এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। মহামারির কারণে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ সুযোগ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। গত সোমবার এ সুযোগ বাড়িয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। এই সময়ে কেউ কিস্তি শোধ দিলে ওই গ্রাহককে সুদ ছাড় দিতে পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ঋণ খেলাপি ঘোষণার মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এই মুহূর্তে তাদেরকে কেননা এ সময় তাদেরকে খেলাপি ঘোষণা করা হলে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের কোন কিছুই আর স্বাভাবিক থাকবে না। এতে করে যেসব রফতানির এলসি করা হয়েছে সেগুলো সেটেল হবে না। এতে রফতানিখাত মার খেয়ে যাবে। এজন্য মেয়াদ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মনে হয় বাংলাদেশ এটি সঠিক কাজটিই করেছে। ব্যবসায়ীরা তো ব্যাংকের ক্লায়েন্ট। এজন্য ব্যবসায়ীদের ভালো থাকতে হবে। ব্যবসায়ীরা ভালো থাকলে ব্যাংকগুলোও ভাল থাকবে। ক্লায়েন্টদের লাভ হলে কিন্তু দিন শেষে ব্যাংকগুলোরই লাভ হবে বলে তিনি মনে করেন।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সউদী ফেরত যেসব প্রবাসী কর্র্মক্ষেত্রে ফিরে যেতে টিকেটের জন্য বিক্ষোভ করছে, এটা অর্থমন্ত্রনালয়ের বিষয় নয়। টিকেট পাওয়ার জন্য প্রবাসীরা সিভিল এভিয়েশন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করতে পারে। তবে দেশের মানুষ বিদেশে গিয়ে চাকরি করুক। অর্থ-উপার্জন করুক। দেশে থাকা তাদের আত্মীয় স্বজনদের টাকা পয়সা পাঠাক এটা সকলেই চাই।
৩৩৯ কোটি টাকার চার ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন : তিনটি আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি করবে সরকার। এতে মোট খরচ হবে ১৭৯ কোটি টাকা। এ সংক্রান্ত তিনটি দরপত্রের অনুমোন দেয়া হয়েছে। এর বাইরে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত অধিদফতরের আরো একটি দরপত্রের অনুমোন দেয়া হয়েছে। এর আওতায় ‘১৮০০ বর্গফুটের ৭৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক’ পূর্ত কাজের জন্য ব্যয় হবে ১৬০ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব দরপ্রস্তাবের অনুমোন দেয়া হয়েছে। পরে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং-এ এসব তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর আগে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের বাস্তবায়নাধীন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের একটি প্রকল্পের প্রস্তাব অনুমোন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপের (পিপিপি) ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে। বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উপস্থিাত না থাকায় তিনটি দরপ্রস্তার প্রত্যাহার করা হয়।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) কাফকো, বাংলাদেশ হতে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ৬৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন করা হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) এর মাধ্যমে সউদী আরব থেকে ২৫ হাজার বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ৫৬ কোটি ৯৬ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২৫ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ৫৭ কোটি ২৮ লাখ হাজার টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় সড়ক ও জনপথ অধিদফতর থেকে ‘ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-পাকশী-দাশুরিয়া জাতীয় মহাসড়ক এর কুষ্টিয়া শহরাংশ ৪-লেনে উন্নীতকরণসহ অবশিষ্টাংশ যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্পের প্যাকেজ নং- ডবিøউডি-০৫ এর পূর্ত কাজ সম্পাদনে ১টি মাত্র দরপত্র জমা পড়ে তাই ১৪৯ কোটি ৩০ লাখ টাকার ক্রয় প্রস্তাবটি বাতিল করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।