পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাটকল শ্রমিক নিরপরাধ জাহালমকে ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে ব্র্যাক ব্যাংককে। রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর এক মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে এই অর্থ। অর্থ পরিশোধের পর বিষয়টি রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের মাধ্যমে আদালতকে অবহিত করতে হবে। এ আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে ২৬ মামলার ভুল আসামি হয়ে ৩ বছর কারাভোগকারী জাহালমের ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা আবেদনের নিষ্পত্তি হয় এ রায়ের মাধ্যমে।
সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১২ সালে ৩৩টি মামলা করে দুদক। তদন্তে জালিয়াত চক্র সোনালী ব্যাংকের ক্যান্টনমেন্ট শাখায় আবু সালেকসহ ৩ জনের হিসাব থেকে ১০৬টি চেক ইস্যু করে। চেকগুলো ১৮টি ব্যাংকের ১৩টি অ্যাকাউন্টে ক্লিয়ারিংয়ের মাধ্যমে জমা করে ১৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। ওই ১৮টি ব্যাংকের মধ্যে একটি হলো ব্র্যাক ব্যাংক। হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়, দুদকের নবীন অনভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তাদের ভুলে সালেকের বদলে গ্রেফতার করা হয় টাঙ্গাইলের জাহালমকে। তাকে ‘আবু সালেক’ হিসেবে শনাক্ত করেছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা। এ কারণে ব্র্যাক ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এই জরিমানা পরিশোধ করতে বলা হয়।
রায়ে হাইকোর্ট বলেন- এ ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের কোনো ভুল না পাওয়ায় তাদের জরিমানা করা হয়নি। তবে, দুদককে হাইকোর্ট সতর্ক করে দিয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে।’
ব্যাংক ঋণ সংক্রান্ত ঘটনায় ৩৩ মামলায় জাহালমকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছিল। পুনরায় এসব মামলার চলমান তদন্ত শেষ করে তা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে, হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন, জাহালমের মতো আর কোনো নিরীহ লোক যেন ভবিষ্যতে দুদকের মামলায় জেল না খাটে। দুদককে যথাযথভাবে তদন্ত করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল রায় ঘোষণার সময় দুদকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান ও আনিসুল হাসান। সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শেখ জাকির হোসেন। সরকারপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। জাহালমের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অমিত দাসগুপ্ত ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।