মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কুয়েতের সদ্য প্রয়াত আমির শেখ সাবাহ আল-আহমেদ আল-সাবাহ'র দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার কুয়েতের প্রধান কবরস্থান সুলাইবিখাত কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। দাফনে পরিবারের নিকটস্থ সদস্যরা অংশ নিয়েছিলেন। দাফনের জন্য লাশ নিয়ে যাওয়ার আগে বিলাল বিন রাবাহ মসজিদে আমির শেখ সাবাহ আহমদ আল-সাবাহের জানাজা পড়ানো হয়।
এর আগে শেখ সাবাহের লাশ আমেরিকা থেকে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি বিমানে দেশে এসে পৌঁছালে বিমানবন্দরে তাঁর ভাই ও নতুন আমির শেখ নওয়াফ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবেহ এবং বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বাহিনী লাশ গ্রহণ করে।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কুনা জানিয়েছে, মরহুম আমিরের লাশ মসজিদে জানাজার জন্য নিয়ে যাওয়ার জন্য দুপুর ২টা থেকে রাজধানীর বেশ কয়েকটি রাস্তা বন্ধ রাখা ছিল। আমিরের লাশ কেবল আত্মীয়দের উপস্থিতিতে কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার আমিরের কবরটি জনসাধারণের জন্য দেখার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
উল্লেখ্য, ২৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আল সাবাহ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
২০১৯ সাল থেকে একের পর এক শারীরিক ব্যাধিতে ভুগতে শুরু করেন মধ্যপ্রাচ্যের প্রবীনতম অভিভয়াবকদের মধ্য অন্যতম এই গুনী শাসক। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য একাধিকবার তিনি যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমন করেন। তবে বার্ধক্যজনিত কারণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় পুরোপুরি সেরে ওঠা হয়নি তার। দীর্ঘ অসুস্থতার এক পর্যায় মঙ্গলবার তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৬৩ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৪০ বছর কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার অর্জিত সাফল্যের প্রেক্ষিতে আল-সাবাহকে আধুনিক কুয়েতের পররাষ্ট্রনীতির স্থপতি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। সে বছরই তিনি কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
সুদীর্ঘ ২৫০ বছর ধরে কুয়েতের শাসন ব্যবস্থা পরিচালনার দায়িত্ব পালনকারী সম্ভ্রান্ত রাজ পরিবারের ১৫তম শাসক শেখ সাবাহ- অন্যতম সফল এবং নন্দিত সরকার প্রধান হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন।
দীর্ঘদিনের বিপত্নীক এই শাসক দুই ছেলেসহ নিজের সবচেয়ে পছন্দের নিবাস 'দার সালওয়া' নামক প্রাসাদে জীবনযাপন করতেন। ২০০২ সালে দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তার একমাত্র কন্যা সালওয়া। তার নামানুশারেই এই প্রাসাদের নামকরণ করা হয়। সূত্র : আরব নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।