নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বহুল আলোচিত নির্বাচনে এবার সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন আটজন। এদের মধ্যে কাজী মো. সালাউদ্দিনের সম্মিলিত পরিষদ থেকে চারজন যথাক্রমে কাজী নাবিল আহমেদ এমপি, আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক, আমিরুল ইসলাম বাবু ও ইমরুল হাসান প্রার্থী হলেও শেখ মো. আসলামের নেতৃত্বাধীন সমন্বয় পরিষদ থেকে হয়েছেন তিনজন। এরা হলেন- এসএম আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান, মহিউদ্দিন আহমেদ মহি ও শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান। বাকি একজন তাবিথ আউয়াল বরাবরের মতই স্বতন্ত্রভাবে লড়ছেন।
প্রার্থীদের মধ্যে কাজী নাবিল, মহি ও তাবিথ এর আগেও বাফুফের সহ-সভাপতি এবং মারুফ ও বাবু সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তবে সহ-সভাপতি পদে বাকি তিনজন একেবারেই নতুন মুখ। এই পদে রেদুয়ান, মানিক ও ইমরুল প্রথম নির্বাচন করছেন। নির্বাচনে ইশতেহারের পাশাপাশি অন্যদের মতো নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন দু’প্যানেলের নতুন তিন সহ-সভাপতি প্রার্থী।
সমন্বয় পরিষদের প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ানের ভিশনটা ভিন্ন। বুধবার তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে উপজেলা পর্যায় থেকে শুরু করে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের সঙ্গে ক্লাবের সমন্বয় ঘটানোর চেষ্টা করবো। সাংগঠনিক অবকাঠামো বাড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে আমার।’
রেদুয়ান আরো বলেন,‘এবার যদি বাফুফেতে একটি ভালো কমিটি আসে, তাহলে ক্রিকেটের মতো ফুটবলকেও একটি পণ্য বানানোর লক্ষ্য রয়েছে। যাতে পৃষ্ঠপোষকদের কাছে ফুটবলকে আকর্ষণীয় করা যায়। তাহলেই আর্থিক সংকট কাটবে। তাছাড়া বিভিন্ন বিভাগে প্রতিযোগিতামূলক খেলা চালানোর ইচ্ছা রয়েছে আমার। যেন দর্শক সমাগম বাড়ে। সময় লাগবে। কারণ গত ১২ বছরে ফুটবল তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। তাই রাতারাতি কিছু করা সম্ভব নয়।’
বাফুফের বাজেট নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে রেদুয়ান বলেন, ‘২০০৮ সালে আমি নারী ক্রিকেট উইংয়ের চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডে ও টি-২০ মর্যাদা পায় এবং বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। সেই ক্রিকেটে ১০০ থেকে ২০০ পাতার বাজটে ফোল্ডার করা হয়। অথচ বাফুফেতে এক পৃষ্ঠার একটি বাজেট। তাহলে ফুটবলের উন্নতি হবে কিভাবে।’
অন্যদিকে মাত্র এক মৌসুম আগে ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এসেই বসুন্ধরা কিংসকে চ্যাম্পিয়ন করান ক্লাবটির সভাপতি ইমরুল হাসান। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা এবং বিশ্বকাপে খেলা কোস্টারিকান ফুটবলার ঢাকায় এনে বাজিমাত করেন তিনি। ফলে তার সাংগঠনিক দক্ষতার পুরস্কার হিসেবে তিনি জায়গা পেয়েছেন সালাউদ্দিনের প্যানেলে। সম্মিলিত পরিষদ থেকে সহ-সভাপতি প্রার্থী হয়ে সেই ইমরুল বলেন, ‘ফুটবল উন্নয়নে আমাদের বসুন্ধরার বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। বাফুফে নির্বাচনে অংশ নেয়া যার প্রথম ধাপ। দেশের জাতীয় দলের বাইরে কারো বয়সভিত্তিক দল নেই, জেলা লিগগুলোর অবস্থাও করুণ। নির্বাচিত হলে আমি এগুলোকে নিয়মিত করতে চাই। সার্ভিসেস দল, যেমন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় দলগুলোকে ফুটবলের মূলধারায় নিয়ে আসতে চাই।’ অপর প্রার্থী দেশের বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান তমা গ্রুপের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেন, ‘আমি সহ-সভাপতি নির্বাচিত হলে আগামীতে বাফুফের আর্থিক সংকট দূর করার চেষ্টা করবো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।