মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় অবস্থিত বাবরি মসজিদে হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিদের সবাইকে খালাস দিয়ে দেশটির আদালত যে রায় দিয়েছে তাতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা।
বুধবার বর্বোরচিত এই ধ্বংসযজ্ঞের দীর্ঘ ২৮ বছর পর জড়িতদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ের পরপরই ক্ষোভ আর নিন্দায় উত্তাল হয়ে ওঠে নেট দুনিয়া। প্রতিবাদে ফেটে পড়েন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা। বিশ্বব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হওয়া এই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় পরপর দুবার বিতর্কিত রায় দেয়ায় দেশটির আদালতের চরম অধঃপতন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সবাই।
ফেসবুকে পারভেজ আলম লিখেছেন, ‘‘জানি এটাই হবে। যেই দেশের মানুষ জয় শ্রী রাম বলার জন্য প্রকাশ্য মুসলিমদেরকে পিটিয়ে হত্যা করে সেই দেশের এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না, আমাদের দেশের নেতারা কি বলবে জানি না। তবে আমি বলবো মোদি সরকার আমার শত্রু প্রত্যেকটা মুসলিমের শত্রু পুরো বাংলাদেশের শত্রু।’’
প্রিতম সাহা লিখেছেন, ‘‘একটা মসজিদ প্রকাশ্য দিবালোকে ভেঙে দেওয়া হল, অথচ কেউ দোষী নয়? এই বিচারব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান রাখা অসম্ভব।ধর্মনিরপেক্ষতার পথ থেকে ভ্রষ্ট হচ্ছে দেশ।’’
হাসান শেখ লিখেছেন, ‘‘কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলা অবশ্যই নিন্দনীয় কাজ। মসজিদ মুসলিমদের ইবাদতের জায়গা আল্লাহর ঘর কারো ব্যক্তিগত সম্পদ নয়। হিন্দুদের মন্দির ভেঙে দিলে খারাপ লাগলে মুসলমানদের মসজিদ রক্ষা করা ভারত সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। একটি দেশে সব ধর্মের লোকই থাকতে হবে তবে স্থান ভেদে বসবাসকারী ধর্মের লোক কম বেশি থাকতে পারে। সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতির উচিৎ সংখ্যালঘু জাতিকে সহায়তা করা।’’
জিল্লুর রহমা লিখেছেন, ‘‘সম্পূর্ণ সাজানো নাটক। বিচার নয়, প্রহসন। গত নভেম্বরে বিতর্কিত ধর্মীয় স্থানটিতে একটি হিন্দু মন্দির বানানোর পক্ষে রায় দেয় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। তখনই ধারণা করা হয়েছিল কী হতে যাচ্ছে এ মামলার রায়। ধিক্কার ও নিন্দা জানাই এ ধরণের বিচারের নামের প্রহসনকে।’’
মোঃ মনোয়ার হোসাইন লিখেছেন, ‘‘এতেই প্রমান হলো ভারতের আইন বিভাগ এবং আইনের শাসন ধ্বংস হলো. মোদির পছন্দে বিচারক বসিয়ে নিজের মনের মত রায় করাচ্ছে এটাই বাস্তব।’’
কামরুজ্জামান বাচ্চু লিখেছেন, ‘‘যে দেশে সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করতে পারেনা, সে দেশে ন্যায় বিচার আশা করা যায়না। তবে একদিন ওখানে বাবরী মসজিদ ঠিকই পুনর প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।’’
জাবের আহমেদ রুমেল লিখেছেন, ‘‘অবাক হইনি একটুও। এরকম হবে সেটা অনুমানেই ছিল।কিন্তু ভারত রাষ্ট্র যে পচেঁ গেলো এতো তারাতারি সেটা দেখেই বরং অবাক হয়েছি তবে পৃথীবিতে সব কিছু স্থায়ী নয়।’’
শফি শা লিখেছেন, ‘‘ক্যাঙারু বিচার ব্যাবস্থায় এর থেকে আর কি হতে পারতো? বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে, হয়তো একদিন এর জন্য ভারত কে বড়ো ধরনের মাশুল দিতে হবে দেশ টুকরো টুকরো হয়ে নতুন দেশের জন্মের মাধ্যমে।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।