পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা-পদ্মা-মেঘনাসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ভারতের উজান থেকে আসছে ঢল। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে পদ্মা নদী গোয়ালন্দে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। উজানে গঙ্গায় ফারাক্কা বাঁধের পানি ছেড়ে দেয়ায় পদ্মা নদী বিপদসীমার ঊর্ধ্বে বইছে। নদ-নদীসমূহে পানি বৃদ্ধির সাথে দেশের উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল হয়ে ভাটিতে পদ্মা ও মেঘনার মোহনায় পর্যন্ত পানির তীব্র চাপ এবং প্রচন্ড ঘূর্ণিস্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এরফলে সর্বত্র নদীভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
বসতঘর, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা, সড়ক রাস্তাঘাট বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে। ফল-ফসলের বিস্তীর্ণ জমি গিলে নিচ্ছে প্রমত্তা নদ-নদী। এ বছর দফায় দফায় বন্যার সঙ্গেই তীব্র নদীভাঙনের মুখে অসহায় হয়ে পড়েছে নদীতীরের মানুষ। বাপ-দাদার ভিটেমাটি নদীগর্ভে হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে মানুষ প্রতিদিনই।
উত্তর-পূর্ব ভারতের পার্বত্য অঞ্চলে নদ-নদীর উজানের অববাহিকায় গতকাল মঙ্গলবার বৃষ্টিপাত কমেছে। আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, অরুণাচল, সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন হিমালয় পাদদেশে অতিবৃষ্টি হয়েছে গত এক সপ্তাহেরও বেশিদিন যাবত। তিব্বতসহ চীন, নেপাল ও ভারতের বিহারেও হয়েছে ভারী বর্ষণ। সেই সঙ্গে ভারত গঙ্গায় ফারাক্কা, তিস্তায় গজলডোবাসহ উজানে অনেকগুলো বাঁধ-ব্যারেজ খুলে পানি ছেড়ে দেয়। এতে করে আশি^নে অকাল বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে দেশের অনেক এলাকায়।
গতকাল পাউবো’র বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে। অন্যদিকে গঙ্গা-পদ্মায়ও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায়ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে।
দেশের নদ-নদীর ১০১টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে গতকাল ৪৪টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৫০টি পয়েন্টে হ্রাস পায়। ৭টি স্থানে পানি অপরিবর্তিত থাকে। ৮টি নদ-নদী ৯টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত সোমবার ৫১টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৪২ পয়েন্টে হ্রাস পায়। রোববার নদ-নদীর ৬৪টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৩২টিতে হ্রাস পায়।
গতকাল নদ-নদী প্রবাহের সর্বশেষ তথ্য-উপাত্তে জানা গেছে, নেপাল ও বিহারে অতিবৃষ্টি, সেই সঙ্গে ফারাক্কা বাঁধের গেইট খুলে দেয়ায় গঙ্গা-পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বিকেল থেকে গোয়ালন্দে পদ্মা নদী বিপদসীমা বরাবর হচ্ছিল এবং পানি ধীরে ধীরে আরও বৃদ্ধির দিকে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনায় পানি বেড়ে গিয়ে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদ কাজীপুরে মাত্র ৪ ও সিরাজগঞ্জে ১৭ সে.মি. নিচে রয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলায় ধরলা নদী বিপদসীমার ১৯ সে.মি. উপরে, বদরগঞ্জে যমুনেশ^রী নদী বিপদসীমার ৭৬ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
চক রহিমপুরে করতোয়া নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৮৩ সে.মি. উপরে, সিংড়ায় গুড় নদীর পানি আরও বেড়ে বিপদসীমার ৯২ সে.মি উপরে, নওগাঁ জেলার আত্রাইয়ে আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৯ সে.মি. উপরে এবং মহাদেবপুরে আত্রাই নদী বিপদসীমার ৩১ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নওগাঁয় ছোট যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থানে থাকা নদ-নদীসমূহের মধ্যে উত্তরাঞ্চলে গাইবান্ধায় ঘাগট নদী বিপদসীমার মাত্র এক সে.মি. নিচে রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৭ এবং চিলমারী পয়েন্টে ২২ সে.মি. নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। আত্রাই বাঘাবাড়ীতে বিপদসীমার ১১ সে.মি. নিচে রয়েছে। মধ্যাঞ্চলে ধলেশ্বরী নদীর পানি আরও কিছুটা বেড়ে এলাসিন ঘাটে বিপদসীমার মাত্র ৪ সে.মি. নিচে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।