মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কুয়েতের আমির শায়খ সাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহ গতকাল যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুয়েতের রাজকীয় বিষয়াদির দায়িত্বে থাকা শায়খ আলী জাররাহ আল-সাবাহ। দেশটির একটি টেলিভিশনে আমিরের মৃত্যুর সংবাদ দিয়ে শেখ আলী জাররাহ আল-সাবাহ বলেন, ‘আমি গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমেদ-আল-জাবার-আল-সাবাহ ইন্তেকাল করেছেন।
এর আগে কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ যখন অসুস্থ ছিলেন সে সময় তার ৮৩ বছর বয়সী ভাই রাজপুত্র নওয়াফ আল-আহমেদ আল-সাবাহ দেশটির সংবিধান অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শায়খ নওয়াফ দেশটির একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। কয়েক যুগ ধরে তিনি দেশটির প্রতিরক্ষা খাত নিয়ে কাজ করছিলেন।
গত জুলাইতে কুয়েতের একটি হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচারের পর অনিশ্চিত স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে একই মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল।
শেখ সাবাহ ২০০৬ সাল থেকে কুয়েত শাসন করেছেন এবং ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তার বিদেশনীতি পরিচালনা করেছেন। কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী গত ১৪ সেপ্টেম্বর তার মন্ত্রিসভাকে জানিয়েছিলেন যে, আমিরের স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে।
১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণ করা শেখ সাবাহকে আধুনিক কুয়েতের পররাষ্ট্রনীতির স্থপতি হিসাবে ব্যাপকভাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি ১৯৬৩ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪০ বছর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। শেখ জাবের আল-সাবাহের ইন্তেকালের পর ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে তিনি কুয়েতের আমির হন।
২০১৯ সালের আগস্টে কুয়েত স্বীকার করে যে, শেখ সাবাহ এক অজ্ঞাত রোগে ভুগছিলেন যার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন। গত জুলাইয়ে তিনি অস্ত্রোপচারের পরে চিকিৎসা করার জন্য আমেরিকা গিয়েছিলেন। ইউএস এয়ার ফোর্সের সি-১৭ উড়ন্ত হাসপাতাল শেখ সাবাহকে কুয়েত থেকে মিনেসোটার রচেস্টারে মায়ো ক্লিনিকে নিয়ে গিয়েছিল।
এদিকে কুয়েতের আমিরের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ, সউদী বাদশাহ সালমান, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শায়খ খলিফা বিন জায়েদ বিন আল-নাহিয়ান, মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল-সিসি। তারা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এদিকে জর্দানের রাজকীয় আদালত কুয়েতের আমির শায়খ সাবাহর ইন্তেকালে গতকাল থেকে দেশটিতে ৪০ দিনের শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছে। সূত্র : আল-জাজিরা, আল-সাবাহ, সউদী গেজেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।