নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান তমা গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। যিনি নিখাদ একজন ফুটবলপ্রেমী। যদিও বাংলাদেশ ফুটবলে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন না কখনো। তবুও দেশের তৃর্ণমূল পর্যায়ের ফুটবলে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন দীর্ঘদিন ধরে।
ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদার আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)সহ বিভিন্ন লিগের ক্লাবগুলোকে নিয়মিতই অর্থ সহায়তা দিচ্ছেন। তবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আঙ্গিনায় একেবারেই নবীন।
আসন্ন বাফুফে ২০২০ নির্বাচনে আতাউর রহমান মানিক সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদ থেকে। আগামী ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় বাফুফে নির্বাচনে জয়ী হলে দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে যা যা করণীয় তার সবই করতে রাজি আছেন এই ধনাঢ্য ফুটবল সংগঠক।
দেশের ফুটবলের আর্থিক সংকট দূর করে জাতীয় দলকে তিনি নিয়ে যেতে চান সর্বোচ্চ শিখরে। এখন থেকেই তার চোখে বিশ্বকাপ স্বপ্ন! মানিক আশা করছেন একদিন ফুটবল বিশ্বকাপের আসর মাতাবে লাল-সবুজরা। মঙ্গলবার কাকরাইলস্থ নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন আশাবাদই ব্যক্ত করেন তমা গ্রুপের চেয়ারম্যান।
২০১২ সালে বিশ্বকাপের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। ওই বছর নিজের নির্বাচনী ইশতেহারে তিনি বলেছিলেন, ‘২০২২ বিশ্বকাপে খেলার লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাবো।’ কিন্তু সেই স্বপ্নপূরণ হয়নি লাল-সবুজদের। বিশ্বকাপ তো অনেক দূরে, গেল ৮ বছরে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলেও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ।
তবে মঙ্গলবার আতাউর রহমান মানিক জানান, সঠিক পরিকল্পনা ও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী থাকলে বিশ্বকাপেও খেলা সম্ভব। সাল উল্লেখ না করলেও বাংলাদেশের বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা তিনি দেখছেন। মানিক বলেন,‘ বিশ^কাপে খেলতে হলে কাঠামো এবং বৃহৎ পরিকল্পনা দরকার। আমি তো আশা করতেই পারি। স্বপ্নপূরণ করতে হয়তো অনেক বছর লাগবে। কিন্তু আপনাকে তো শুরু করতে হবে। পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে হবে। আমরা যদি শুরু করতে পারি,তাহলে অন্য কেউ এসে সেটা শেষ করবে। স্বপ্ন তো দেখতেই পারি।’
তিনি আরো বলেন,‘ফুটবল সংগঠক হিসেবে গেল ক’বছরের অভিজ্ঞতায় আমি মনে করি, বাংলাদেশে ফুটবল উন্নয়নের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা আর্থিক সীমাবদ্ধতা। বাফুফের অনেক সুন্দর প্রকল্প ও পরিকল্পনা আর্থিক কারণে গতিশীল হয় না। আমি সহ-সভাপতি নির্বাচিত হলে বাফুফের আর্থিক সংকট দূর করার সর্বাতœক চেষ্টা করব। ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ, অনুশীলনে উন্নত প্রযুক্তি ও সুযোগ সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করব।’
গত এক যুগে খেলোয়াড়দের জন্য একটা জিম নির্মাণ করতে পারেনি বাফুফে! তবে মানিকার ধারণা এটা কোনো ব্যাপারই নয়, যেকোনো সময় জিম নির্মাণ করা যায়। তার কথায়,‘আমার প্যানেল নির্বাচিত হলে খুব শিঘ্রই জিম নির্মাণ কাজ শুরু হবে। যা আমাদের ইশতেহারেও আছে।’
দেশে একমাত্র বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ছাড়া ফুটবলের জন্য অত্যাধুনিক কোনো স্টেডিয়াম নেই। নির্বাচিত হলে অত্যাধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রতিশ্রুতিও দিলেন মানিক। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ফুটবলপ্রেমী। খেলা দেখতে মাঠে আসেন। নির্বাচনে জিততে পারলে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলব তিনি যেন স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য আমাদেরকে সাহায্য করেন।’
নির্বাচনে জিতলে তৃণমূল ফুটবলের উপর জোর দেয়া হবে বলে জানান মানিক। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জেলা ও বিভাগে লিগ চালু করাসহ যে ক্লাবগুলো আর্থিক সংকটের কারণে খেলতে পারছে না, তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করব আমরা।’
তবে নির্বাচনে হারলে ফুটবলের সঙ্গে থাকবেন কিনা- এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি সাফ জানান, ‘সেটা পরে দেখা যাবে ‘
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।