মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
৫২৭৬ কোটি রুপি ঋণের দায়ে ভারতের শিল্পপতি অনিল আম্বানীর বিদেশে থাকা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবে তিনটি চীনা ব্যাঙ্ক।অনিল আম্বানী তিনটি চীনা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন ৭১ কোটি ৬০ লাখ ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় ৫২৭৬ কোটি রুপি। সেই ঋণ শোধ না করতে না পারায় ব্রিটেনের কোর্টে মামলা করেছিল ব্যাঙ্কগুলো। গত ২২ মে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, অনিল আম্বানীকে ৫২৭৬ কোটি টাকা শোধ করতে হবে। ব্যাঙ্কগুলোর মামলার খরচও দিতে হবে। গত শুক্রবার তিনটি ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ঋণ ও মামলার খরচ আদায় করার জন্য বিশ্বের নানা প্রান্তে অনিল আম্বানীর যে সম্পত্তি আছে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। -ইকোনমিক টাইমস, আনন্দবাজার
এদিকে আনন্দবাজার ‘গয়না বেচে খরচ চলছে, ঋণ শোধের সামর্থ্য নেই, আদালতে দাবি অনিল আম্বানীর’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে। যে তিনটি ব্যাঙ্ক থেকে অনিল আম্বানী ঋণ নিয়েছিলেন সেগুলো হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক অব চায়না, এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাঙ্ক অব চায়না এবং চায়না ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্ক। তিনটি ব্যাঙ্কের হয়ে ব্রিটেনের কমার্শিয়াল কোর্টে শুনানিতে অংশ নেন বানকিম থানকি। তিনি শুক্রবার আদালতে বলেন, তিনটি ব্যাঙ্ককে যাতে ঋণ শোধ না করতে হয়, সেজন্য অনিল আম্বানী যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। শুক্রবারের শুনানির পরে ব্যাঙ্কগুলো বিবৃতি দিয়ে বলে, অনিল আম্বানীর থেকে ঋণের অর্থ উদ্ধারের জন্য তারা সবরকম আইনি ব্যবস্থা নেবে। তবে আরেকটি সূত্র বলছে চীনা ব্যাঙ্কগুলো এখন ভারতে অনিল আম্বানীর কোনও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবে না। কারণ, ভারতে অনিলকে দেউলিয়া ঘোষণার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। অনিল আম্বানী ব্রিটেনের কোর্টকে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন, বিদেশে কোথায় তার সম্পত্তি আছে।
সেই হলফনামা অনুযায়ী বিদেশের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবে তিনটি চীনা ব্যাঙ্ক। গত ২৯ জুন ভারতে হাইকোর্ট অনিলকে নির্দেশ দেয়, বিশ্বের যে যে দেশে তার ১ লাখ ডলার বা ৭৪ লাখ রুপির বেশি সম্পত্তি আছে, তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। এছাড়া তার আয় ও ব্যয়ের হিসাব, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, শেয়ার সার্টিফিকেট, ব্যবসার ব্যালেন্স শিট, তিনি কোনও ট্রাস্টের সদস্য হলে তার নাম ইত্যাদি জানাতে বলা হয়। সেই সঙ্গে তাকে বলা হয়, ভিডিও লিঙ্ক মারফৎ শুনানিতে অংশ নিতে হবে। হলফ করে সব প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। আদালতে প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরুর আগে অনিল আবেদন করেছিলেন, তার ব্যবসার নথিপত্র যেন তৃতীয় পক্ষ দেখতে না পায়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।