পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী

ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ গুলোতে ৭৫ শতাংশ স্থায়ী শিক্ষক রাখার বাধ্যবাধকতা রেখে এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় নতুন আইনের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এরপরও এ বিষয়ে মন্ত্রিসভা বা প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ চাইলে তা জানানো হবে।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০২০ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ৭০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এবং ২৬টি ডেন্টাল কলেজ আছে। আর সরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে ৩৬টি এবং ডেন্টাল কলেজ একটি। বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলো এতদিন দুটি নীতিমালার অধীনে চলত। নীতিমালা দিয়ে সব কিছু সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যাচ্ছিল না, এ জন্য নতুন আইন করা হচ্ছে। বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের প্রত্যেক বিভাগে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত হবে ১:১০। এসব প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ৫০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। ২৫ শতাংশের বেশি খন্ডকালীন শিক্ষক রাখা যাবে না, ৭৫ শতাংশ স্থায়ী শিক্ষক থাকতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রিজার্ভ ফান্ডে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোকে তিন কোটি টাকা এবং ডেন্টাল কলেজগুলোকে দুই কোটি টাকা রাখতে হবে। মেট্রোপলিটন এলাকায় বেসরকারি মেডিকেল কলেজ করতে কমপক্ষে দুই একর জমি এবং অন্য জায়গায় স্থাপন করলে চার একর জমি থাকতে হবে। তিনি বলেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে যতগুলো শষ্যা থাকবে তার ১০ শতাংশ দরিদ্রদের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। মেডিকেল কলেজে কমপক্ষে ২৫০টি এবং ডেন্টালে কমপক্ষে ৫০টি শয্যা থাকতে হবে। আইন অমান্য করলে দুই বছর কারাদন্ড, ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দন্ড দেওয়া যাবে। এছাড়া অনুমোদন বাতিল করাও হতে পারে। নতুন আইন পাস হলে মেডিকেল কলেজগুলোকে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি রাখতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যে বিভাগে যে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ থাকবে, সেই বিভাগের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সেগুলো পরিচালিত হবে। ঢাকা বিভাগের সব বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকবে। নতুন আইন কার্যকর হওয়ার পর বর্তমানে যেসব মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ রয়েছে সেগুলোকে শর্ত পূরণ করতে সময় দেওয়া হবে। খসড়া আইনে প্রয়োজনীয় বিধিমালা প্রণয়নেরও ক্ষমতা দেওয়া আছে। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় মন্ত্রিসভা বা প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ চাইলে তা দেওয়া হবে।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা বলে দিয়েছি, যে কোনো সেক্টরগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গুলোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যারা কর্তৃপক্ষ তারা তাদের নিজ বিবেচনায় ব্যবস্থা নেবেন। এরপরও তারা যদি মনে করেন কোনো পরামর্শ বা কোনো সিদ্ধান্তের দরকার কেবিনেটের বা প্রধানমন্ত্রীর, আমাদেরকে কাছে পাঠাতে পারে তখন সেটা ওভাবে বিবেচনা করা হবে। কিন্তু এখন অথোরিটি তাদের কাছেই দিয়ে দেওয়া আছে। মহামারী সঙ্কটে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাজীবন নিয়ে অভিভাবকদের উদ্বেগের মধ্যেই সার্বিক বিষয়ে অবহিত করতে আগামীকাল বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা আছে।
গত ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে তা স্থগিত রয়েছে। বছর প্রায় শেষ হয়ে আসায় এ পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। মহামারীর কারণে এবার পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা নেবে না সরকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে উপরের শ্রেণিতে তোলার কথা রয়েছে। তবে চারটি শর্ত দিয়ে আগামী অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ব্রিটিশ কাউন্সিলের পরিচালনায় ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেলের পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে সরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।