Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনের সহযোগিতায় তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে স্বাগত জানিয়েছে আইএফসি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৯:২৯ পিএম

বাংলাদেশ সরকার চীনের সহযোগিতায় তিস্তা নদী প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে অগ্রসর হওয়ার আহবান করেছে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি, আইএফসি।এই প্রকল্প নির্মাণের যে পদক্ষেপ তাকে স্বাগত জানিয়েছে আইএফসি। তারা বলেছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে উজানে ভারতের উপর বাংলাদেশের আর নির্ভরতা থাকবে না। বাংলাদেশ আর ভারতের মধ্যে যে সব অভিন্ন নদী রয়েছে, সেগুলোর পানির সমবণ্টন নিয়ে প্রচারণা চালায় এই কমিটি। -ইউএনবি, সাউথ এশিয়ান মনিটর
এক বিবৃতিতে কমিটি বলেছে, ৮০ বিলিয়ন টাকা ব্যয়ে এই সমন্বিত প্রকল্পিত নির্মিত হলে সেটা শুধু বার্ষিক বন্যা আর ভাঙনই রোধ করবে না, বরং একই সাথে বাংলাদেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নও নিশ্চিত করবে সেটা। তারা বলেছে, এই প্রকল্প ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ নদী বরাবর টেকসই উন্নয়ন গড়ে তুলবে। নীলফামারির ডালিয়া পয়েন্টের তিস্তা ব্যারেজ থেকে নিয়ে মহিপুর আর কাউনিয়া হয়ে ব্রহ্মপুত্রে পড়া পর্যন্ত নদীর দৈর্ঘ হলো এই ১০২ কিলোমিটার। আইএফসির নেতারা তাদের বিবৃতিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে যাতে তারা বর্তমান তিস্তা প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় এবং সেটা বাস্তবায়ন করে। একই সাথে মূল তিস্তা সমতলকে তারা এ প্রকল্পের অধীনে নেয়ার দাবি জানিয়েছে, যাতে দেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন হতে পারে। তারা বলেছে বাংলাদেশে তিস্তা নদী কার্যত মরে গেছে কারণ বহু দশক ধরে নদীতে অতিরিক্ত পলি জমেছে এবং স্বাভাবিক পানির প্রবাহ তারা পাচ্ছে না। এই প্রবাহ না থাকায় সেটা পরিবেশের ক্ষতি করছে এবং মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়েছে। তিস্তা সমতলে খরার মাত্রা ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেছে। শুকনা মওসুমে হেঁটে নদী পার হতে পারে মানুষ। বর্ষা মওসুমে ভারত গজল ডোবা বাধ খুলে দিয়ে পুরো পানির প্রবাহ ছেড়ে দেয়।

কিন্তু নদীর গভীরতা না থাকায় নদী এই পুরো পানির চাপ নিতে পারে না। ফলে পুরো বর্ষা মওসুমে ব্যাপক বন্যা হয় এবং নদী ভাঙন চলতে থাকে। চলতি বছর চার দফা বন্যা হয়েছে এবং নদীর দুই পাড়ের মানুষ সর্বসান্ত হয়ে গেছে। বারবার আশ্বাস দেয়ার পরও বাংলাদেশ শুকনা মওসুমে এই নদীর পানির হিস্যা পায়নি। উজানে এই নদীর পানির গতি বদলিয়ে গঙ্গায় নেয়া হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে ভারতের এই নদীর পানি ভাগাভাগির সম্ভাবনা আরও কমে যাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার তিস্তা নদী প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে, যে প্রকল্পের আওতায় নদীর নাব্যতা বাড়ানো হবে এবং ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ১৭০ বর্গকিলোমিটার নদীপথ উদ্ধার এবং মূল চ্যানেল গড়ে তোলার পর এর দুই পাড়ে স্যাটেলাইট শহর গড়ে তোলা হবে। এখানে উচ্চ উৎপাদনশীল শিল্প ও কৃষির উন্নয়ন করা হবে।



 

Show all comments
  • সাগর ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:০২ পিএম says : 0
    প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Mosharof ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:৫১ পিএম says : 0
    Amra chai j Tistar kaj hok R kote kote manushar shompoth Rokha hok kintu kajta koba hoba Janina ASHA kote kajti Jano taratare hoy
    Total Reply(0) Reply
  • Suruj ali ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:২৮ এএম says : 0
    Good job
    Total Reply(0) Reply
  • Md shoreful islam ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৭:৩১ এএম says : 0
    তিস্তার বাদ হবে কিনা
    Total Reply(0) Reply
  • Md Shihab uddin ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৮:০৪ এএম says : 0
    কাজটি হবেনা।কারণ .......................
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Enamul Haque ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৯:৩২ এএম says : 0
    This project must be done as soon as.
    Total Reply(0) Reply
  • Md Mahfuz ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৯:৪০ এএম says : 0
    খুবই ভালো একটা উদ্যোগ
    Total Reply(0) Reply
  • Alamin ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০৫ এএম says : 0
    খোব ভালো একটি উদধেখ ভারতে উপর নির্ভর কমানোর জন্য বাংলাদেশকে বাঁচানোর ভাল একটি উপায়। আর আমরা সকল বাংলাদেশিরা ভারতের সকল পণ্যে বজ্ন করা দরকার।
    Total Reply(0) Reply
  • Ahammad R Rahman ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৭:৪৭ এএম says : 0
    This should have been done long time ago. Later is better than never.
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ রফিকুল ইসলাম ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৮:০০ এএম says : 0
    আমি প্রথমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই তাঁর এই সাহসী উদ্যোগের জন্। এটি কালক্ষেপন না করে যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করা দরকার। কারণ এই কাজটি হলে আমাদের যেমন ভারত নির্ভরতা কমে যাবে তেমনি দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হবে অকল্পনীয় ইনশাআল্লা। তাই দেশের সকল রাজনৈতিক, মানবাধিকার কর্মী সহ আপাময় সকলকে এই ব্যাপারে রাজনীতি না করে দেশের সার্থে সরকারকে সমর্থন করিবেন এটাই কামনা করি। ধন্যবা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ