রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ইসলামপুর (জামালপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
জামালপুরের ইসলামপুরে জোরপূর্বক তালাকনামা ফরমে স্বাক্ষর নেয়াসহ ভুয়া কাবিননামা বানানোর প্রতারণার মামলায় কাজীসহ (নিকাহ্ রেজিস্ট্রার) ৬ জন আজ ২৬ দিন ধরে কারাবাস করছেন। ওদিকে মামলা তুলে নিতে আসামিরা প্রতিনিয়ত নানাবিধ হুমকি দিচ্ছেন মর্মে মামলার বাদী ভোক্তভুগি যুবক মোজাম্মেল হোসেন অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, ইসলামপুরে মোজাম্মেল হোসেন নামে এক যুবকের বিবাহিত স্ত্রীকে ডিভোর্স দেয়ার লক্ষ্যে জোরপূর্বক তালাকনামা ফরমে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগে জামালপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী ওই যুবক। মামলা সূত্রে জানা যায়, ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের পোড়ারচর বটচর গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে মোজাম্মেল হোসেন গত ১৬ ডিসেম্বর ইসলামপুর বাজার থেকে বাড়ির উদ্দেশে পায়ে হেঁটে আসতে থাকেন। বাড়ির কাছাকাছি রাস্তায় পৌঁছলে ৮-১০ লোক মোটরসাইকেলযোগে এসে অস্ত্রের মুখে তাকে চোখ বেঁধে অপহরণ করে। এরপর অজ্ঞাত নামক স্থানে আটকিয়ে রেখে একই গ্রামের মামু আলীর ছেলে জতা ম-লের মেয়ে জরিনা ওরফে হাছিনা খাতুনকে বিয়ে করতে চাপ দেয়। মোজাম্মেল ওই মেয়েকে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে জতা ম-লের ভাড়াটিয়া সাঙ্গপাঙ্গরা তাকে শারীরিক নির্যাতন করে একপর্যায়ে মোজাম্মেল হোসেনের পায়ের আঙ্গুল ভেঙে যায়। আহতাবস্থায় মোজাম্মেল হোসেনের স্ত্রী মিতাকে ডিভোর্স দেয়ার লক্ষ্যে তার কাছে তালাকনামা ফরমে স্বাক্ষর নিয়ে উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিস্ট্রার (কাজী) শফিকুল ইসলামের সহযোগিতায় জতা ম-লের মেয়ে হাছিনার সাথে ২০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ের ভুয়া কাবিননামা বানায়। ঘটনার তিন দিন পর গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার সময় অপহরণকারীরা মোজাম্মেলকে জতা ম-লের বাড়িতে নিয়ে আসলে সে কৌশলে পালিয়ে বাড়ি ফিরে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগি যুবক মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে গত ২৮ ডিসেম্বর জামালপুরের ইসলামপুর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করে। সংশ্লিষ্ট বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সি,আই,ডি জামালপুরকে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। ওই মামলায় জতা ম-ল, তার ভাই আজাহার ও মেয়ে হাছিনাসহ আসামি করা হয়েছে একই এলাকার চিক্কারুর ছেলে ফকির আলী ও সুরুজ্জামান, আজাহারের ছেলে লিটন, স্থানীয় (নিকাহ্ রেজিস্ট্রার) কাজী শফিকুল ইসলাম ওরফে লাল মিয়া কাজীকে। গত ১৭ জুলাই আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করলে সংশ্লিষ্ট বিচারক মো. আল আমিন একমাত্র আসামি হাছিনার জামিন মঞ্জুর করে বাকিদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। সেই থেকে অদ্যাবধি পযর্ন্ত আসামিরা কারাবাস করছে। প্রতারণার শিকার যুবক মোজাম্মেল হোসেন জানায়, মামলা করার পর থেকে মামলা তুলে নিতে আসামিরা বিভিন্নভাবে তাকে হুমকি দিয়ে আসছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।