Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে কৃষি বিল নিয়ে বিজেপি জোটে ভাঙ্গন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৬:১৫ পিএম

বিতর্কিত কৃষি বিল ঘিরে শেষপর্যন্ত ফাটল ধরল বিজেপি জোট এনডিএ-তে। এই বিলের প্রতিবাদে কয়েকদিন আগে নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভা থেকে নিজেদের সাংসদকে প্রত্যাহার করেছিল শিরোমণি অকালি দল। এবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এই জোট ছেড়েই বেরিয়ে গেল তারা। শনিবার সভাপতি সুখবীর সিং বাদলের সভাপতিত্বে শিরোমণি অকালি দলের এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক বসেছিল। সেখানেই বিজেপির সঙ্গ ত্যাগের সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়েছে।

এনডিএ-র সবথেকে পুরনো শরিক দল এসএডি। গেরুয়া শিবিরের চরম খারাপ সময়েও বিজেপির পাশে ছিল তারা। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকার এবং পাঞ্জাবে এই দুই দল একসঙ্গে সরকারও গঠন করেছে। কিন্তু মোদি সরকারের তিনটি কৃষি বিল নিয়ে বিজেপি এবং শিরোমণি অকালি দলের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছিল। যা ক্রমশ সংঘাতের রূপ নেয়। শনিবার রাতে অকালি দলের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘উৎপাদিত ফসলের বিক্রি করে কৃষকরা যাতে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পান তা নিশ্চিত করতে আমরা আইনি বিধিবদ্ধ সংস্থান রাখার কথা বলেছিলাম। কিন্তু সরকার আমাদের এই দাবিকে ক্রমাগত অস্বীকার করেছে। যার প্রতিবাদে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিরমোণি অকালি দল।’ কৃষি বিলের পাশাপাশি পাঞ্জাব এবং শিখ ইস্যুতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমাগত সংবেদনহীনতার অভিযোগও এনেছেন অকালি নেতৃত্ব।

গত সপ্তাহে লোকসভায় কৃষি বিল পাশ হয়ে গিয়েছে। ওই দিনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদথ্যাগ করেন অকালি দলের সাংসদ হরসিমরত কৌর বাদল। কেন্দ্রের কৃষি বিল বিতর্কের মূলে এমএসপি। বর্তমানে ২২টি কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) দেয় সরকার। রাজ্য নিয়ন্ত্রিত এপিএমসি মান্ডিতে সরকার নির্ধারিত এই দামে কৃষিপণ্য বিক্রি করতে পারেন চাষিরা। এর ফলে চাষে ক্ষতি হলে বা অতি উৎপাদনে বাজারে দাম কমলেও সরকার নির্ধারিত নিশ্চিত মূল্য পান চাষিরা।

সরকারের বক্তব্য, নয়া আইনেও এমএসপি বাতিল হচ্ছে না। এমএসপি-র পাশাপাশি চাষিদের জন্য কর্পোরেট সংস্থার কাছে ফসল বিক্রির দরজাও খুলে দেয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে চাষিদের দরকষাকষি করে বেশি দাম পাওয়ার সুযোগ থাকবে। মধ্যস্থতাকারীদের দাপট কমবে, চাষিরা সরাসরি বিক্রির সুযোগ পাবেন। যদিও দেশের অধিকাংশ কৃষক এবং কৃষক সংগঠনের আশঙ্কা অন্য জায়গায়। তাদের বক্তব্য, সরকারের ভোট পাওয়ার দায়বদ্ধতা রয়েছে, কিন্তু বড় কর্পোরেট সংস্থার তা নেই। ফলে, উৎপাদনে ক্ষতি হলে বা বাজারে দাম কম থাকলেও সরকার যথাযথ ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেয়। বাজারকে উন্মুক্ত করে দিলে দর কষাকষির উপরই দাম নির্ভর করবে। আর বড় কর্পোরেট সংস্থার সঙ্গে গ্রামের ছোট চাষিদের দর কষাকষির ক্ষমতা সামান্য। যার কাছে কম দামে পাবে, কর্পোরেট সংস্থা তার থেকে কিনবে। বাকিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সূত্র: টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ