Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঘুরে দাঁড়াতেই পারছেন না কৃষক

কৃষি বিভাগের দাবি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চাষাবাদ

সুনামগঞ্জ জেলা সংবাদদতা : | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০৭ এএম

সুনামগঞ্জে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ ধরে অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে রোপা আমন ধানের শেষ মৌসুমে এসে আবারও ধানের চারা পানির নীচে তলিয়ে গেছে। বারবার এভাবে ধাক্কা খেয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে না কৃষক।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ১১টি উপজেলা ২১৯০ হেক্টর আমন চাষ হয়েছে চাষাবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৪৭৮৭ হেক্টর। কৃষি বিভাগের দাবি লক্ষমাত্রার চেয়ে ৮ হেক্টর বেশি চাষাবাদ হয়েছে।
অথাৎ ৮২ হাজার ৭৮৭ হেক্টর আমন চাষাবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় চাষাবাদের লক্ষমাত্রা ছিল ১১৬০০, দোয়ারাবাজারে ১৪৫৬০, বিশ্বম্ভরপুর ৮৭০০, জগন্নাথপুরে ৯৪৫৮, জামালগঞ্জে ৩৯৫০,তাহিরপুরে ৬১০০, র্ধমপাশায় ৫৩৪, ছাতকে ১৩১০০, দিরাইয়ে ২৭১৫ ও শাল্লায় ৪০৭০ হেক্টর।
সদর উপজেলার মোহপুর গ্রামের বিলাল বলেন, এ নিয়ে চারবার পাহাড়ি ঢল আর অবিরাম বৃষ্টির পানিতে নীচু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ফসলি আমন জমি ডুবে গেছে। মাঝে দুই দিন প্রচন্ড তাপদাহ থাকায় আমনের চারা গাছ পচন ধরেছে। আর ঘুরে দাড়াবার উপায় নেই। আবার যে বীজ তলা চারা বপন করে রোপা আমন চারা রোপন করবো তা এখন আর সময় নেই।
সদর উপজেলা কোরবান নগর ইউনিয়ন আলমপুর গ্রামের কৃষক আবুল জানান তিনি বেগুন, শিম, মুলাসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেছেন। বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ সবজি ক্ষেতে পানি দু-এক দিনের মধ্যে পানি না কমলে সবজির ব্যাপক ক্ষতি হবে।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক সফর উদ্দিন বলেন, উপজেলাগুলো থেকে দেয়া তথ্য অনুযায়ী ২১৯০ হেক্টরের মত রোপা আমন জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এ পানিতে কিছুটা ক্ষতি হলেও ডুবে থাকা জমি ৫-৭ দিন পর্যন্ত এই চারা পানির নীচে থাকলেও নষ্ট হবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষি-বিভাগ

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ