পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানসহ তিন শিক্ষককে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগকারী আরিফ হাসান খানকেও তলব করা হয়েছে। অভিযুক্ত অপর দুই শিক্ষক হলেন, সহযোগী অধ্যাপক রুহুল আমীন ও সহকারী অধ্যাপক এস এম আব্দুর রহিম।
আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদেরকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা আব্দুল মাজেদ স্বাক্ষরিত এক নোটিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা।
নোটিশটি বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার দফতরে এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ। তিনি বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর এমন একটি চিঠি এসেছে। যে সকল শিক্ষককে হাজির হতে বলা হয়েছে আমরা তাদের কাছে গত ২৩ সেপ্টেম্বর চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি।
দুদকের পাঠানো নোটিশে বলা হয়, অভিযুক্ত ওই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে বক্তব্য গ্রহণ ও শ্রবণ করা একান্ত প্রয়োজন। তাই আগামী রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার নিকট বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য বলা হলো। অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আব্দুল মাজেদকে অনুসন্ধানী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহযোগী অধ্যাপক রুহুল আমীন বলেন, আমি কুষ্টিয়ার বাইরে আছি। এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি হাতে পাইনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দফতর থেকে কিংবা কেউ আমাকে এ ব্যাপারে অবহিত করেননি।
সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, চিঠি পেয়েছি। বিগত সময়েও কল্পকাহিনী নিয়ে সরকারের অনেক অর্গানের সঙ্গে সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা আমার আছে। সব সময় তদন্তকে আমি স্বাগত জানাই। দুদকের কাছে আমার সততার স্বীকৃতি পেলে ষড়যন্ত্রকারীরা পরাজিত হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের একটি অডিও ফাঁস হয়। অডিওক্লিপে নিয়োগপ্রার্থীর সঙ্গে বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক রুহুল আমিন ও ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম আবদুর রহিমের কথোপকথন শোনা যায়। তাদের কথোপকথনে সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমানের নামও ওঠে আসে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।