পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে দেশের ৬১ জেলার ৪৬২টি উপজেলাকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ভৌগোলিক এলাকায় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। ৪৬২টি উপজেলার মধ্যে ৪৬১টির শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন করেছে। পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলা বাকি রয়েছে। এছাড়া ১৭৩ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ প্রায় শেষ করেছে। এ উপজেলাগুলোকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে অফগ্রিড এলাকায় এসব গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়াই এখন তাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে তিন ধাপে এসব গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবে আরইবি বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অঞ্জন কান্তি ইনকিলাবকে বলেন, সারাদেশের ৬১টি জেলার ৪৬২টি উপজেলার মধ্যে ৪৬১টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করতে পেরেছি। এখন শুধু পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা বাকি রয়েছে। সেখানে সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে বিদ্যুৎ দেয়া হবে। প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলার চরগুলোতে এক হাজার ৫৯টি গ্রাম আছে। সেখানে আগে সৌরবিদ্যুৎ হওয়ার কথা ছিল। ¯্রােডাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল সেখানে সোলার করার। কিন্তু তারা পারেনি। এখন দায়িত্ব নিয়ে সাবধানে মেরিন ক্যাবল দিয়ে অনগ্রিড বিদ্যুৎ দেয়া হবে সেখানে। বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৮৫টি নদী আমাদের অতিক্রম করতে হবে। জামালপুর, ভোলা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধাসহ বেশ কিছু উপজেলায় পড়েছে এসব গ্রাম। ফলে বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। তারপরও মুজিববর্ষের মধ্যেই এই কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা করছি।
আরইবি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আরইবি এই কাজ করছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তাদের অধীন এলাকার সব মানুষকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে এই কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট প্রথম ছয়টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা করেন। সব শেষ গত ২৭ আগস্ট আরো ২৭ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত হিসেবে ঘোষণা করেন। ১৭৩ উপজেলায় ১০০ ভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। তবে এখনও সেগুলো উদ্বোধন হয়নি। এসব উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা হিসেবে ঘোষণার প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছে আরইবি। আরইবির ভৌগোলিক এলাকার এক হাজার ৫৯টি গ্রাম রয়েছে। অফগ্রিড এলাকায় এসব গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়াই তাদের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তিন ধাপে এসব গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে আরইবি। তবে প্রথম ধাপে ৬৪৬টি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার কাজ শুরু করেছে আরইবি। এসব গ্রামকে চলমান কার্যক্রমের আওতায়ই বিদ্যুতায়িত করা সম্ভব। চলতি মাসের মধ্যেই গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া সম্ভব হবে। তবে ২৯টি অতি দুর্গম গ্রাম ছাড়া বাকি ৩৮৪টি গ্রামে আগামী অক্টোবরের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করবে। তবে ২৯টি অতি দুর্গম গ্রামের বেশিরভাগই পাহাড়ি এলাকায় হওয়াতে এসব গ্রামে চলতি বছরের মধ্যেই বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন পৌঁছে দেবে আরইবি।
আরইবির পরিচালক (প্রশাসন) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, দেশের ৬১ জেলার ৪৬২টি উপজেলাকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ভৌগোলিক এলাকায় নির্ধারণ করে দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ। ৪৬২টি উপজেলার মধ্যে ৪৬১টির শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন করা হয়েছে। পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলা সাগর পাড়ে হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। তবে সেটিও হয়ে যাবে। এখন অফগ্রিড এলাকায় এসব গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়াই আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে তিন ধাপে এসব গ্রামে আমরা বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।