Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নীরব কেন সাংস্কৃতিক কর্মীরা?

লুট-খুন-গুম-ক্রসফায়ার প্রশ্ন রিজভীর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

সরকার তাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সাঙ্গ-পাঙ্গদের দিয়ে জিয়াউর রহমানের চরিত্র হননের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, তাদের (সরকার) কোন অপপ্রচারই শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারেনি। এখন খুদ কুড়ো অন্বেষী, মোসাহেব সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের দিয়ে নাটক-সিনেমা বানাতে উৎসাহ দিচ্ছে একদলীয় ভোটারবিহীন আওয়ামী সরকার। তাদের লেলিয়ে দেয়া এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে মহাউৎসাহে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে জঘন্যতম বিকৃত ইতিহাস, চরিত্রহনন ও কুৎসার গরল উগলে দিতে এই ধরণের কর্মকান্ডে মেতে উঠেছে। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কতিপয় পদলেহী অর্বাচীন অসুস্থ লোক ইতিহাস বিকৃত করার প্রক্রিয়ায় জিয়াউর রহমানকে খাটো করার অপচেষ্টায় নিরন্তর কাজ করছে।
গতকাল শুক্রবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, মান্নান হীরা নামে এক ব্যক্তি নিজে আওয়ামী লীগের নেকনজর পাওয়ার জন্য ‘ইনডেমনিটি’ নামে তথাকথিত একটি বিকৃত ইতিহাসের চটি নাটক লিখে জয় বাংলা ব্যানারে বা তাদের সাংস্কৃতিক জোটের নামে সারাদেশে মঞ্চায়ন করে বেড়াচ্ছে। তারা সম্পূর্ণ মিথ্যা এক বিকৃত ইতিহাস দাঁড় করানোর হীন প্রচেষ্টা তুলে ধরেছে এই নাটকের কল্পিত গল্পে। পাশাপাশি দেখানো হয়েছে, জিয়াউর রহমানের নির্দেশে নাকি ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর খন্দকার মোশতাক ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন। এই নাটকে খুনী ও খল চরিত্র এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত লাগে। এদেশের কোটি কোটি মানুষের প্রিয় নেতা শহীদ জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অসত্য ইতিহাস রচনা করে তা নাটক আকারে বিকৃতভাবে মঞ্চস্থ করেছে।
নাটকের সাথে জড়িত ও নেপথ্যের কুশীলবদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনের স্বীকার করা মধ্যরাতের নির্বাচনে ক্ষমতায় চেপে বসা এই সরকার কখনোই সুষ্ঠু রাজনীতি ও গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে না। সীমাহীন লুটতরাজ, খুন-গুম, ক্রসফায়ারসহ নৈরাজ্য আর ব্যাপক রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের দ্বারা দেশকে নরকে পরিণত করেছে সাড়ে বারো বছর। এসব নিয়ে আপনারা নীরব কেন? এসব নিয়ে আপনাদের নাটক কোথায়?
তিনি বলেন, ইনডেমনিটি নাটকের রচয়িতা, পরিচালক, নির্দেশক, অভিনেতা-কলাকুশলীদের জনগণ মনে রাখবে। এই অর্বাচীনরা হলো গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে ব্যবসা করা ফড়িয়া ও দালালদের সহযোগী। তাদের এই ষড়যন্ত্রকে জনগণ শুধু ঘৃণাভরে প্রত্যাখানই করছে না, শহীদ জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও তার চরিত্র হননের অপপ্রয়াসের জন্য আপামর জনগণ দারুনভাবে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। এই দিন দিন না সামনে আরো দিন আছে। দেশের জনগণই এর উপযুক্ত জবাব দিবে। চরিত্রহননকারী নাটকের নির্মাতাদের কর্মকান্ডে তিনি নিন্দা ও ধিক্কার জানান।
রিজভী বলেন, মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের মর্মান্তিক হত্যাকান্ডে জড়িত সবাই ছিলেন আওয়ামী লীগের বা তাদেরই বশংবদ। সেখানে শহীদ জিয়াউর রহমানের দূরতম কোন ভূমিকাও ছিল না। ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ নেতা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদ ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করেন। এটি ১৯৭৫ সালের অধ্যাদেশ নং ৫০ নামে অভিহিত ছিল। ’দি বাংলাদেশ গেজেট, পাবলিশড্ বাই অথরিটি’ লেখা অধ্যাদেশটিতে খন্দকার মোশতাক আহমেদের স্বাক্ষর রয়েছে। খন্দকার মোশতাকের ক্যাবিনেট ছিল সম্পূর্ণরুপে আওয়ামী লীগের ক্যাবিনেট। সেটা কি আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের তল্পিবাহক নাট্যকার’রা জানেন না? ইনডেমনিটির ইতিহাসই আওয়ামী লীগের ইতিহাস। #



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ