Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিদ্যালয়ের নামে ভুয়া জমি দান

স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী : | প্রকাশের সময় : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০৪ এএম

নরসিংদীর মনোহরদীতে বিদ্যালয়ে জমি দানের নামে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বগাদী উচ্চ বিদ্যালয়ে জমি দানের নামে এমন ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরারব লিখিত আবেদন করেছেন।

জানা যায়, ১৯৯৯ সালে বগাদী গ্রামের লোকজনের সহযোগিতায় বগাদী জুনিয়র আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। বিদ্যালয়ে স্থায়ী ঘর নির্মাণ এবং ভবিষ্যত উন্নয়নের জন্য ২০০০ সালে একই গ্রামের নূরুল ইসলাম, মো. মজিবুর রহমান এবং মতিউর রহমান কাজল মিলে ৫৩ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রিমূলে দান করেন। কিন্তু দানকারী ব্যক্তিরা উক্ত দাগ থেকে মাত্র ১০.৮০ শতক জমি পাওনা হন। বিষয়টি গোপন রেখে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলতে থাকে। ২০১৮ সালে বিদ্যালয়ের নবম এবং দশম শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম চালানোর অনুমতি চান প্রধান শিক্ষক। মাধ্যমিক শ্রেণির পাঠদান চালু করার জন্য নিয়মানুযায়ী বিদ্যালয়ের নামে আরো ২২শতাংশ জমির প্রয়োজন। শর্তানুযায়ী বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির তৎকালীন সভাপতি হাবিবুর রহমান জমি রেজিস্ট্রি করার জন্য তিন লাখ টাকা দেন প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনের কাছে। পরবর্তীতে একই গ্রামের খন্দকার হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে ২২ শতাংশ জমি লিখে নেয়া হয়। কিন্তু ২৩১ নং দাগে মিলন মিয়া নামে এক ব্যক্তির বাড়ি। ৫৫৭ এবং ৫৫৮ নং দাগের জমির প্রকৃত মালিক হুমায়ূন কবীর সেখানে তার নির্মাণাধীন এক তলা বাড়ি রয়েছে। সম্প্রতি হুমায়ূন কবীর এ বিষয়ে নরসিংদী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ২২ শতাংশ জমি সাফ কোবলা দলিল করার জন্য প্রধান শিক্ষককে টাকা দিয়েছি। কিন্তু তিনি দানপত্র দলিল করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাছাড়া বিদ্যালয়ের রেজ্যুলেশনে আমার নাম উল্লেখ করার কথা থাকলেও তিনি তা করেননি। তার অভিযোগ প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন সম্পূর্ণ ব্যক্তি স্বার্থে সত্যকে আড়াল করেছেন। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, আমাদের পরিবারের সদস্যরাই বিদ্যালয়ের নামে জমি দান করেছেন। প্রয়োজনে অন্যান্য শরীকদের সাথে পরামর্শ করে বন্টননামা দলিলের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের জমি নিষ্কন্টক করে নিব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিদ্যালয়-নাম

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ