মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এবার প্রথমবারের মতো সোনার মেডেল পুরস্কার দেয়া হলো স্থলমাইন খুঁজে দেয়ার জন্য এক ইঁদুরকে। অবাক হওয়ার মতো ঘটনা। হ্যাঁ, স্থলমাইন খুঁজে বের করে সোনার মেডেল জিতে নিয়েছে আফ্রিকার মাগাওয়া নামের এক ক্ষুদে ইঁদুর। গন্ধ শুঁকেই সে মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা এই ভয়ানক স্থলমাইন ও বোমা খুঁজে বের করে চলেছে। কম্বোডিয়ার ভূমিতে স্থলমাইন খুঁজে দেয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য সম্মানজনক স্বর্ণপদক পেয়েছে ইঁদুরটি। নিজের এই গুরুত্বপূর্ণ ক্যারিয়ারে ৩৯টি স্থলমাইন ও ২৮টি অবিস্ফোরিত বোমা খুঁজে বের করেছে সাহসী মাগাওয়া।
‘নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কম্বোডিয়ার ভূমিতে ভয়ানক স্থলমাইন খুঁজে বের করে অসংখ্য জীবন বাঁচানো’র অবদানের জন্য মাগাওয়াকে এই সম্মানজনক পদক দিয়েছে ব্রিটেনের দাতাসংস্থা পিডিএসএ।
এর আগে আরো ৩০টি প্রাণী এই পদক লাভ করেছে। তবে এই প্রথম কোনো ইঁদুর এই পুরষ্কার পেল। পিডিএসএর এই পদকের গায়ে খোদাই করে লেখা আছে ‘সাহসিকতা বা দায়িত্ব পালনে অবদানের জন্য’।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ায় এখনো প্রায় ৬০ লাখের মতো স্থলমাইন পোঁতা আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সহযোদ্ধার সঙ্গে মাগাওয়া সাত বছর বয়স্ক মাগাওয়াক ইঁদুরটিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে তানজানিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান 'আপোপো'। ১৯৯০ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি 'হিরোর্যাট' বা সাহসী নায়ক ইঁদুরদের স্থলমাইন খুঁজে বের করার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এক বছর প্রশিক্ষণের পর সনদপত্র পায় এই ইঁদুররা।
আপোপো'র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস্টোফ কক্স বলেন, 'এই পদক পাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। তবে শুধু আমাদের জন্যই নয়, কম্বোডিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশেই স্থলমাইনের কারণে ঝুঁকিতে আছে অনেক মানুষ। তাদের জন্যও এটা তাৎপর্যপূর্ণ'।
মাগাওয়া'র জন্ম ও বেড়ে ওঠা দুইই তানজানিয়ায়। এর ওজন প্রায় দেড় কেজি ও লম্বায় ২৮ ইঞ্চি। যদিও অন্যান্য ইঁদুরের তুলনায় মাগাওয়া অনেক বড়, তবু এর ওজন এত কম যে স্থলমাইনের উপর দিয়ে হেঁটে গেলে এর চাপে মাইন বিস্ফোরিত হয় না। মাগাওয়া টেনিস কোর্টের সমান এক এলাকা ২০ মিনিটের মধ্যে তন্নতন্ন করে খুঁজে ফেলতে পারে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তা খুঁজতে মানুষের অন্তত চারদিন সময় লাগে।
এই বিস্ফোরক মাইনের ভেতর এক ধরণের রাসায়নিক উপাদান আছে। ইঁদুরদের এই উপাদানটির গন্ধ শুঁকেই মাইন চিহ্নিত করার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। যখনই তারা কোনো মাইনের অস্তিত্ব খুঁজে পায়, মাটিতে আঁচড় কেটে মানুষ সহযোদ্ধাদের জানিয়ে দেয়। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।