পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, দেশ ও সরকার ভুল পথে চলছে। সরকারের অন্যায় আচরণ দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই জন্যই সরকারকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই, এখনো সময় আছে, সংশোধন হওয়া জরুরি।
গতকাল ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল মিলনায়তনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ অন্যান্যদের গ্রেফতার হয়রানি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে মামলা ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ বলেন, মনে রাখা দরকার দুর্নীতির কোন পর্যায়ে আছি আমরা। সরকার তো নিজেই দুর্নীতি করছে। সরকার মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার, ভোটাধিকার হরণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। এর চেয়ে বড় দুর্নীতি কি হতে পারে? সরকার চোখে দুর্নীতি দেখতে পাচ্ছে না। ফলে সবার কণ্ঠরোধ করতে চাইছে। মালেকের দুই তলা, সাত তলা দুটা বাড়ি, আফজালের দশটা বাড়ি-এসব কি দুর্নীতি ছাড়া সম্ভব? সরকার তার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি কোথায় নেই? শিক্ষা বিভাগের ডিজি (মহাপরিচালক) সাহেবও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত, একটা ড্রাইভারও অভিযুক্ত। অন্যদিকে শিক্ষিত মানুষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ওনার চাকরি হলো রংপুরে, থাকেন ঢাকায়। এটা কি দুর্নীতি না? কেন তাদের ঢাকায় থাকতে হবে? এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার না হলে আমাদের সামনে দুর্দিন আসছে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ভিপি নুর যদি অন্যায় করে থাকে, সেটার বিচার হবে। তা বলে তাকে হয়রানি করা যাবে না। ছাত্র রাজনীতি একটা প্রসেশন করে, তাদের বের হতে দেবেন না, সেটা তো হয় না। আপনারা জনগণকে বের হতে দিচ্ছেন না। সেজন্য দেশটা নৈরাজ্যের দিকে চলছে। নুরকে তার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে হবে। আমার ওপরও হয়রানি বিদ্যমান রয়েছে। এখনও আমার মামলা চলছে, আমি মাছ চুরি করেছি! কয়টা মাছ খেতে পারি আমি? সুতরাং প্রধানমন্ত্রী এই জিনিসগুলো বন্ধ করুন। এসব বন্ধ না করলে দেশের জন্য তা হবে খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
ডিজিটাল আইনকে ‘অগণতান্ত্রিক, অনৈতিক’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিট আইন বিনা বিচারে হত্যার সামিল। রাজনীতিবিদদের সহনশীল হতে হবে। সমালোচনা সহ্য করতে হবে। পেঁয়াজ আমদানি ইস্যুতে ভারতের সমালোচনার পাশাপাশি বাংলাদেশের ক‚টনৈতিক অবস্থান নিয়ে সমালোচনা করে তিনি বলেন, ভারত হঠাৎ অনৈতিকভাবে পিয়াজ রফতানি বন্ধ করে পঁচা পেঁয়াজ পাঠালো। ভারতের সঙ্গে কিসের বন্ধুত্ব? যে বন্ধু আমার স্বার্থ দেখে না, একতরফা তার সাথে বন্ধুত্ব হতে পারে না। শোষকের সাথে শাসিতের বন্ধুত্ব হয় না।
তিনি বলেন, ভারতের করোনার টিকা বাংলাদেশে ট্রায়াল নয়, তারা অন্যের জন্য ঠিকাদারি করছে। ভারতের তো এটা নিজস্ব আবিস্কার বা কিছু না। আমাদের স্বার্থ রক্ষা আমরা করতে পারিনা। এর কারণ দেশে সুশাসন-গণতন্ত্র নেই। আমি কথা বলতে পারছি না।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা এনেছি কারও গোলামি করার জন্য নয়। এটা বঙ্গবন্ধু বুঝেছিলেন। তাই তিনি ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরেই বলেছিলেন, ভারতের সৈন্য হটাও। কিন্তু এখন ভারতীয় সৈন্যের পোশাক পরা লোক নেই। কিন্তু সাদা কাপড়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা দেশের মৃত্যু, রাজনীতিবিদদের মৃত্যু আমাদের চিন্তা চেতনার মৃত্যু ঘটাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।