Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চালের মূল্য দফায় দফায় বৃদ্ধি

দশ মাসে বেড়েছে ১৮ টাকা

সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০৫ এএম

নরসিংদীতে চালের দাম অব্যাহত বেড়ে চলছে। গত ৫/৬ দিনে কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা। এ নিয়ে গত উৎপাদন মৌসুম থেকে এ পর্যন্ত চালের মূল্য বেড়েছে ১২ দফা। প্রতিবার কেজিপ্রতি ৫/৬ টাকা করে বাড়তে বাড়তে বর্তমানে ২৯ টাকা কেজি চালের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকায়। ৫/৬ দিন পূর্বে ২৮ ও ২৯ ভ্যারাইটির চাল কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৪২ টাকা দরে।
নরসিংদীর বিভিন্ন বাজারে এই চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা। কাজললতা বিক্রি হয় ৪৫ টাকা কেজি দরে। এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৫২ টাকা কেজি দরে। এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি দরে। বাংলামতি চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৩ টাকা কেজি দরে। নাজিরশাইল চালের মূল্য ছিল ৫৫ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা।
বাজারে চালের কোন ঘাটতি নেই। নরসিংদীর সকল আড়তেই চালের মজুদও রয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চালের মূল্য বাড়াচ্ছে ও কমাচ্ছেন মিল মালিকরা। তারা চালের মূল্য বাড়িয়ে দিলেই বাজারে চালের মূল্য বেড়ে যায়। দেশে চালের বাজার ব্যবস্থা মিল মালিক সিন্ডিকেটের হাতে বন্দী। তারা কখন চালের মূল্য বাড়িয়ে দিবে তা আর বলার সুযোগ নেই। ক্রেতারা জানিয়েছেন, চালের মূল্য যে বাড়বে উৎপাদন মৌসুমে বুঝা গেছে। উৎপাদন মৌসুমে যখন চালের দাম কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা বেড়ে আর কমেনি, তখনই ধারণা করা গেছে যে চালের দাম বাড়বে। এই সময়ের ভিতর সরকার চালের মূল্য কমাতে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। ১০ মাসে ১২ দফায় কেজিপ্রতি চালের মূল্য ২৯ থেকে ৪৮ টাকা বৃদ্ধি কোনক্রমেই স্বাভাবিক নয়। কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে যে প্রচারণা চালায় তা মাঠের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বয়সের কারণে ধানের অনেক ভ্যারাইটির উৎপাদন কমে গেছে। বাজারের সবচেয়ে বেশি চাল আমদানি হয় ব্রি ২৮ ও-২৯ ভ্যারাইটির।
চাষিরা জানিয়েছেন, ধান বায়ুপরাগী বিধায় ভ্যারাইটি দুটি পলিনেটেড হয়ে গেছে। ফাউন্ডেশন সীড থেকে ফলন হতে বিঘা প্রতি ৩০ মণের উপরে। এখন উৎপাদিত হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ মণ। সরকারের ঘরে ধানের সঠিক সঠিক হিসাব না থাকলেও মিল মালিকদের কাছে রয়েছে। মিল মালিক ও ব্যবসায়ীরা ধানের শীষ প্রতি ধান গুণে চালের হিসাব করে। পক্ষান্তরে কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগ ও সরকার একশ্রেণির পত্রপত্রিকায় ধানের বাম্পার ফলনের প্রচারণায় তুষ্ট হয়ে বসে থাকে। সরকার ধানের উৎপাদনের প্রকৃত হিসাব থেকে বঞ্চিত হয়।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাল

১১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ