বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কোর্ট রিপোর্টার : রাজধানীর কামরাঙ্গীচরের বাসিন্দা মোশারফকে হত্যার দায়ে দুই আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি দ-িতদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার প্রথম অতিরিক্তি মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক জেসমিন আরা বেগম এ আদেশ দেন। ফাঁসির দ-প্রাপ্তরা হলেন, নিহত মোশারফের স্ত্রী তাসলিমা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক রাসেল। রায় ঘোষণার আগে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার নথি সুত্রে জানাগেছে, রাজধানীর কামরাঙ্গীর চর থানা এলাকার আশরাফাবাদ মধ্য ইসলামনগর ডোবারপাড়ায় ২০০৭ সালের ১৩ অক্টোবর হত্যার উদ্দেশ্যে রাতের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাসলিমা তার স্বামী মোশাররফকে খাওয়ায়। পরে ওই খাবার খেয়ে মোশাররফ ঘুমিয়ে পড়লে প্রেমিক রাসেলকে সঙ্গে নিয়ে তাসলিমা খুন করে লাশ গুম করার উদ্দেশে খাটের নিচে পুঁতে রাখেন। ওই ঘটনায় নিহতের বড়ভাই আব্দুল জলিল বাদী হয়ে কামরাঙ্গীর চর থানায় ওই বছর ১৩ অক্টোবর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ঘটনার তদন্ত করে ২০০৮ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
হাতিয়ায় অগ্নিকা-ে ২৮ দোকান ভস্মীভূত
নোয়াখালী ব্যুরো ঃ উপজেলা উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে ২৮টি দোকানের মূল্যবান মালামাল পুড়ে অন্তত ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্থদের। বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে চরচেঙ্গা বাজারে এ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। এঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে হাতিয়ায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের দাবিতে উক্ত বাজারে মানববন্ধন করে স্থানীয়রা।
ক্ষতিগ্রস্থদের বরাত দিয়ে চরচেঙ্গা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাজী রুহুল আমিন কোম্পানী জানান, রাতে চরচেঙ্গা বাজারের প্রধান গলির একটি চা দোকানে হঠাৎ করে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আগুনে পাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে পাম্প মেশিন ব্যবহার করে প্রায় ৩ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু এরআগে আগুনে সোহেল স্টোর, খলিল মেম্বার, বাহার মোবাইল, সোলায়মান স্টোর, মহি উদ্দিন স্টোর, রঘুনাথ স্টোর, ইব্রাহিম স্টোর, আজাদ স্টোর, ইমাম স্টোর, আমিন চা দোকান, আব্দুল হক বস্ত্রবিতান, মিরাজ মুদি, জাবের বস্ত্র বিতান, মহিউদ্দিন মুদি, খায়ের মোবাইল এন্ড কম্পিউটার, মিরাজ স্টোর, ইলিয়াছ কম্পিউটার এন্ড ফার্ম, আমির স্টোর, বেলায়েত মেশিনারি’সহ ২৮টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে দোকানগুলোতে থাকা মূল্যবান মালামাল পুড়ে অন্তত ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। মহিউদ্দিনের চা দোকান থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে তারা ধারনা করছেন। তিনি আরো জানান, হাতিয়া উপজেলায় কোন ফায়ার সার্ভিস না থাকায় আগুনে বার-বার তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। তাই স্থানীয়দের পক্ষ থেকে হাতিয়ায় একটি ফায়ার স্টেশন করার জন্য নিদিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান তিনি। হাতিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুব মোর্শেদ (লিটন) জানান, ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগীতার বিষয়ে স্থানীয় এমপি আয়েশা ফেরদৌস ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করছেন। হাতিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন অগ্নিকা-ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।