মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বের বড় বড় ব্যাংকের আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার তথ্য প্রকাশ করে সাড়া ফেলে দিয়েছে ফিনসেন ফাইল। প্রায় আড়াই হাজার পাতার এই ফাইলের তথ্য বলছে, বিশ্বের একাধিক বড় ব্যাংক জেনেশুনে মানি লন্ডারিং বা বেআইনি আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। জার্মানির ডয়চে ব্যাংক থেকে হংকং সাংহাই ব্যাংক (এইচএসবিসি) সকলেই এই বেআইনি কাজ করেছে।
পানামা পেপারের মতো বিশ্ব জুড়ে প্রায় একই রকম সাড়া ফেলেছে ফিনসেন ফাইল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীর সমস্ত ব্যাংকে দেখতে হয় তাদের ক্রেতারা যে অর্থ রাখছেন বা তাদের মাধ্যমে অন্য কোথাও যে অর্থ পাঠাচ্ছেন, তার উৎস কী? অর্থাৎ, যে অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হচ্ছে, তা বৈধ কি না। ফিনসেন ফাইলের তথ্য বলছে, ডয়চে ব্যাংক, এইচএসবিসি-র মতো ব্যাংকগুলি জানতো, তাদের ব্যাংকের মাধ্যমে বেআইনি অর্থ, বা অবৈধ অর্থ লেনদেন হচ্ছে। তা সত্ত্বেও তারা তা পাচার হতে সাহায্য করেছে। মূলত পঞ্জি স্কিমের অর্থ এ ভাবে পাচার হয়েছে। লন্ডন থেকে অ্যামেরিকা বিশ্বের বহু উন্নত দেশ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। বেশ কিছু ক্ষমতাবান ব্যক্তিও এর সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
শুধু এইচএসবিসি ব্যাংক থেকেই প্রায় দুই ট্রিলিয়ান মার্কিন ডলার পাচার হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ডয়চে ব্যাংক থেকে পাচার হয়েছে এক ট্রিলিয়ান ডলার। পঞ্জি স্কিমের টাকা এ ভাবে নয়ছয় হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। গোটা বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ার পরে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য আইনি ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তো বটেই, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে, তার জন্যও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ঘটনায় আমেরিকার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।